মঙ্গলবার ● ১৫ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা
পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: ১শত বছরের পুরোনো গৃহস্থালী পুকুর ভরাট করে সিডিএর অনুমোদনহীন ৫ তলা ভবন নির্মান বন্ধ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত পরিবেশ বিপর্যয়কারী আফ্রিকান মাগুর ও পিরান হা মাছের চাষ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবী
বাকলিয়ার কালামিয়া বাজারের পূর্ব পার্শ্বে শত বছরের পুরোনো গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার্য পুকুর জবরদখল করে গত ৬/৭ বছর যাবৎ স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধি চক্র নিষিদ্ধ ঘোষিত পরিবেশ বিপর্যয়কারী আফ্রিকান মাগুর মাছের চাষ করিয়া আসিতেছে। শুধু তাই নয়, অতি সম্প্রতি সে একই পুকুরের এক তৃতীয়াংশ জায়গা ভরাট করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ সিডিএ’র অমোদন ছাড়া রাতারাতি বহুদল ভবন নির্মাণ করেছে অত্র একই অপরাধী চক্রটি। মৃত ইয়াকুবের পুত্র অপরাধী চক্রটি চট্টগ্রামব্যাপী ভাড়াটে খুনি, অস্ত্রব্যবসা, ইয়াবা ব্যবসা, মানবপাচার, হুন্ডি, ছিনতায়, চুরি-ডাকাতী, ছিনতায়, ভূমিদস্যুতাসহ সংঘবদ্ধ উক্ত অপরাধী চক্রটির অন্যতম প্রধান সদস্য স্থানীয় সন্ত্রাসী আনিস প্রকাশ ডাইল আনিস, মনিজ্জামান, জাহেদ্দা, রাশেদ্দার নেতৃত্বে বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বেশ কয়েকবছর স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী ফাঁকি দিয়ে বাকলিয়া এলাকাকে তাদের বহুবিধ অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। ইতিপূর্বে সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশনকে উক্ত বিষয়ে রিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অপরাধিদের বিরুদ্ধে আইগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উক্ত অপরাধি চক্রটি বর্তমানে পুরো পুকুরটি ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণের অপচেষ্টা করছে। অননুমোদিত ভবন নির্মান যেকোন ভূমিদশে ব্যাপক দুর্ঘটনা ঘটার সমুহ আশঙ্খা রয়েছে।এছাড়া, প্রতিরাতে মাগুর মাছের খাদ্য হিসেবে গরু, ছাগল ও মুরগির ব্যপক দুর্গন্দযুক্ত বিভিন্ন বজ্য উক্ত পুকুরে ফেলে পুরোসবত ভিটা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা বসবাসের অনুপযোগি করে তুলেছে। মৃত ও জীবিত বিভিন্ন পশুর পচা ক্ষতিকর বর্জ্য উক্ত পুকুরে প্রতিনিয়ত ফেলার কারণে পার্শ্ববর্তী বসবাসরত পরিবার গুলোর মাঝে বিভিন্ন রোগ ব্যধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যাপক মশা মাছির উপদ্রব সৃষ্টি হওয়ার কারণে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়াসহ নানা ধরণের দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আশপাশের বসতিগুলো। চতুর্পাশ্বস্থ বসবাসরত লোকজনের মধ্যে ঘা, পাচডা ও বিভিন্ন চর্মরোগ জাতীয় রোগের উপসর্গ মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। ব্যাপক দুর্গন্ধের কারণে পাশ্ববর্তী অবস্থানরত হৃদ রোগীদের প্রাণ হানির ঘটার সমুহ আশঙ্খা বিরাজ করছে। মশার উপদ্রব অবাবনীয় আকার ধারণ করেছে। এক কথায় মাগুর মাছের চাষ ও ক্ষতিকর বর্জ্যরে কারণে অন্যান্য পরিবার গুলোর জীবনযাপন চরম বিপর্যস্থ ও হুমকির মধ্যে পড়েছে। ১০০ বছর যাবৎ গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহাযোগ্য অত্র পুকুরটি গত ৭ বছর যাবৎ মাগুর মাছের চাষের মাধ্যমে ব্যবহারের অনুপযোগি করে তুলেছে এবং ধীরে ধীরে ভরাট করে ভবন নির্মাণের মাধ্যমে অত্র এলাকার একমাত্র জলাধার পুকুরটির নিশানা বিলুপ্তির পায়তারা করছে সন্ত্রাসীরা। তারই ধারাবাহিকতায় বছর খানেক আগে উক্ত একই কুচক্রিমহল ঐ পুকুরটির অর্ধাংশ রাতারাতি ভরাট করে সিডিএর অনুমোদন ব্যতীত তিনতলা ভবন নির্মান কওে জনচলাচলের পথকে সরু করে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, পুকুর ভরাট হওয়ার কারণে পুরো এলাকাজুড়ে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে চতুর্পাশ্বস্থ বসবাসকারী পরিবারগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি বৃষ্টি, জোয়ার ও বানের পানিতে তাদের মাগুর মাছ ভেসে না যাওয়ার জন্য তারা সরকারী নালাগুলো ঝুটের ও বালুর বস্তা দিয়ে বন্ধ করে দেয় প্রতিনিয়ত। ফলে পার্শ্ববর্তী খালের পানি ভাটার সময় নেমে গেলেও ঘটনাস্থলে বসবাসরত ১০০ পরিবার প্রায় কোমর সমান পানিতে নিমজ্জিত থাকে।
চলমান পাতা-০২
পাতা-০২
পার্শবর্তী জায়গার মালিক গণের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও উক্ত অপরাধী চক্র চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইন অমান্য যৌথ মালিকানাধীন জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক ভবন নির্মান করে চলেছে। কত কয়েক বছর যাবৎ পুকুর গৃহস্থালী ব্যবহার না করা জন্য পরিকল্পিতভাবে উক্ত অপরাধি চক্র পরিবেশ নিষিদ্ধ ঘোষিত মাগুর মাছের চাষাবাদ করে পুরো পুকুরটির বিলুপ্তি ঘটানোর অপচেষ্টা করছে। সিডিএ কিংবা সংলিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনই অত্র অননুমোদিত ভবন নির্মান কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ না নিলে স্থানীয়
বসবাসকারীদের অপুরোণিয় ক্ষতি হবে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এহেন অন্যায় কাজ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে যত্রতত্র ভবন নির্মান ও পুকুর ও জলাধার বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। ভূমিদস্যুরা প্রাকৃতিক জলাদার গুলো ভরাট করে ফেলার কারণে বর্তমানে পুরো এলাকা প্রায় পুরো বছরেই ব্যাপক জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে। জলাবদ্ধা ও অবাসযোগ্য পরিবেশের কারণে বর্তমানে আামদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অপরাধিদের বিভিন্ন সময় আমরাসহ এলাকাবাসী অবৈধ মাগুও মাছের চাষ বন্ধ করার আহ্বান করিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী বসবাসকারীগণকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও জানে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
একটি যৌথ বি.এস. খতিয়ানভুক্ত পুকুর অন্যায়ভাবে সিডিএ’র অনুমোদন ব্যতীত তিনতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান করায় যেকোন মুহুর্তে ভবন ধ্বসে ঘটতে পারে ব্যাপক প্রাণহানি। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই উক্ত শত বৎসরের পুরোনো প্রাকৃতিক জলাদার ও পুকুরের নিশানা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পরিবেশ আইন অমান্য এবং সিডিএ’র অনুমোদন ছাড়া খালি জায়গায় ও পুকুরে ৫ তলা ভবন নির্মানের কাজ চলিতেছে।
এলাকাবাসী , স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০১০ ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০১০ এবং অন্যান্য আইন অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কৃর্তপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে এবং সাথে সাথে মাগুর মাছের চাষ ও পুকুরে ভবন নির্মান বন্ধ করে পুকুরটি উদ্ধার করে এলাকাবাসীর গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত পুকুরটি পরিবেশ সম্মত উপায়ে সংরক্ষণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। স্থানীয়রা পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।