মঙ্গলবার ● ১৫ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » নবীগঞ্জে নিখোঁজের পর মৃতদেহ উদ্ধার:আটক-১
নবীগঞ্জে নিখোঁজের পর মৃতদেহ উদ্ধার:আটক-১
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: (৩১ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ৩.৫২মি.) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামে রাতে নিখোঁজের পরদিন সকালে গোলাপ আলী নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এঘটনায় সাকিরা বেগম নামে এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃত সাকিরা বেগম ওই গ্রামের তালেব আলীর স্ত্রী। ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারনা করছে পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চরগাঁও গ্রামের নিহত গোলাপ আলীর সাথে তারই চাচাতো ভাই তালেব আলী গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে থানায়। এদিকে গত সোমবার রাৃতে গোলাপ আলীর ঘরের চালের উপর দিয়ে ডিসের লাইন টানানো নিয়ে তালেব আলীর সাথে বাকবিতন্ডতার এক পর্যায়ে তালেব আলীর লোকজন গোলাপ আলীর ছেলে সুমন মিয়াকে মারপিট করে। এই ঘটনায় গোলাপ আলী সোমবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই গোলাপ মিয়া নিখোঁজ হয়ে যায়। সারারাত খোঁজাখুজির একপর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে চরগাঁও গ্রামের নয়াবাড়ি কবরস্থানের পাশে একটি নির্জনস্থানে গোলাপ আলীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মৃতদেহটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। গোলাপ আলীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় তালেব আলীর স্ত্রী সাকিরা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারনা করছেন নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। সকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব সাবির আহমেদ চৌধুরী । এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম আতাউর রহমান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল এর মর্গে প্রেরণ করেছি। ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে ধারনা করা যাচ্ছে। এঘটনার সাথে জড়িত এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে গোলাপ আলী’র মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে ।