বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আত্রাইয়ে বন্যায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত : ঘোষণা করা হয়নি ছুটি
আত্রাইয়ে বন্যায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত : ঘোষণা করা হয়নি ছুটি
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: (২ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২.৫৮মি.) নওগাঁর আত্রাইয়ে উজান থেকে নেমে আসা পানি ও গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণের ফলে উপজেলার ছোট যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপথসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে উপজেলার মালিপকুর নামক স্থানে আত্রাই-সিংড়া সড়ক, পাঁচুপুর বেড়িঁবাধ ও পাঁচুপুর-সিংড়া রোড ভেঙ্গে আত্রাই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। সেই সাথে উপজেলার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। এর পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানি ভেঙ্গে গেলেও শিক্ষার্থী নেই। এদিকে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লাস করতে না পাড়লে এসব পরীক্ষার্থীরা সমাপনী পরীক্ষা ও বাষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে না বলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন।
এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার রোখছানা আনিছা জানান, এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আত্রাইয়ে গত কয়েক দিন বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় এবং বিদ্যালয়গুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় উপজেলার বেওলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পারমোহনঘোষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বমিরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বলরামচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নন্দনালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আত্রাই আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৩০টি প্রথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
অপর দিকে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়, বন্যাকবলিত হয়ে পড়ায় উপজেলার কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, শলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জগদাশ উচ্চ বিদ্যালয়, বড় কালিকাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, উদনপৈ দাখিল মাদ্রাসা, ও আটগ্রাম দাখিল মাদ্রাসাসহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে উপজেলার পূর্বমিরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, প্রবল বন্যার পানি বিদ্যালয়ের কক্ষগুলোতে ঢুকে যাওয়ায় এবং পানিবন্দী হয়ে পড়ায় বিদ্যালয়টি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এ বন্যার ফলে বর্তমান আমাদের বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে কোমর পর্যন্ত পানি। বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। যার ফলে ১৯ নভেম্বর সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন সমাপনি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে না পাড়লে বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব নয়। সচেতন মহল মনেকরছেন এভাবে স্কুল বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের উপর পরীক্ষায় বিরুপ প্রভাব পড়বে।