শুক্রবার ● ১৮ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » শিরোনাম » নানান সমস্যায় বিশ্বনাথ থানা
নানান সমস্যায় বিশ্বনাথ থানা
মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (৩ ভাদ্র ১৫২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫০মি.) আমরা মানুষকে সুন্দরভাবে ও শান্তি পূর্ণভাবে বসবাস করার জন্য নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। ডিউটি করে এসে শান্তিতে একটু বিশ্রাম নেম কিংবা দৈনন্দিন কাজকর্ম করব আমাদের সে সুযোগ আর নেই। জানালার কাচ ভাঙা, নলকূপের পানি ভাল নেই, পুকুরের পানি দূষিত ইত্যাদি ইত্যাদি এক কথায় নানান সমস্যায় জর্জরিত আমাদের থানা কমপ্লেক্সটি। কিন্তু আমাদের খবর কেউ রাখেনা। কথাগুলো বিশ্বনাথ থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কনষ্ট্রেবলের। বিশ্বনাথ থানা কমপাউন্টের নানান সমস্যার কারনেই তার এমন আবেগময় কন্ঠের বক্তব্য। তবে সম্প্রতি এলাকার বিত্তবানদের সহযোগিতায় থানা কম্পাউডে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারী থানার প্রশাসনিক ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে এ ভবনে আর কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। ভবনের ছাদের ও দেয়ালের কোথাও কোথাও প্লাস্টার খসে পড়ছে। অনেকগুলো জানালার কাঁছ ভেঙ্গে গেছে। ফলে ভাঙ্গ কাছ দিয়ে শীতের দিনে অতি সহযে ঠান্ডা বাতাস আর আর বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি ভিতরে প্রবেশ করে। এতে পুলিশ কর্মকর্তা ও কনষ্ট্রেবলদেরকে পোহাতে হয় দূর্ভোগ। তাছাড়া থানাতে অনেক গুরত্বপূর্ন কাগজপত্রও বৃষ্টির পানিতে নষ্ঠ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এনিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের চিন্তার অন্তঃ নেই।
থানা সূত্রে জানা গেছে, থানায় স্থাপিত একমাত্র নলকুপটির পানি তেমন ভাল নয়। তাই বিশদ্ধ পানি পান করার জন্য তাদেরকে বাধ্য হয়ে বাহির থেকে পানি ক্রয় করে আনতে হয়। এতে স্বল্প বেতনভোগীদের পোহাতে হচ্ছে অনেক দূর্ভোগ। তাছাড়া থানা কমপাউন্ডের ভিতরে থাকা একমাত্র পুকুরটিরও জরার্জিন অবস্থা। এদিকে ভরাট হয়ে গেছে, অন্যদিনে পানিতে ফেলা ময়লা-আবর্জনা পানিকে করেছে দূষিত। আর পুকুরের পানি দূষিত হয়ে পড়ার কারনে পুকুরে গোসল করলে দেখা দিচ্ছে নানা রোগ বালাই। আর এর পানি পান করাতো জেনে-শুনে বিষপান করা। যে কারনে রান্নার কাজেও ঘটছে অনেক ব্যাঘাত। তাছাড়া রান্নাঘরের অবস্থাও জরার্জিন।
থানা সূত্রে আরো জানা গেছে, বিশ্বনাথ থানায় কোনো কোয়াটার না থাকায় প্রশাসনিক ভবনের ২তলায় গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে থানা পুলিশের কর্মকর্তা ও কনষ্ট্রেবলদেরকে। তাই বাধ্য হয়েই তাদেরকে নিজেদের স্ত্রী-সন্তানদেরকে রাখতে হচ্ছে বাহিরে। এতে অনেক সময় তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনেই জরুরীকাজ রেখেও যেতে হচ্ছে স্ত্রী-সন্তানের কাছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের টহল দেওয়ার জন্য পুলিশের রয়েছে ২টি জরার্জিন গাড়ি। এতে থানার পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে অনেক দূর্ভোগ। জনগুরুত্বপূর্ন এ উপজেলাবাসীর জন্য থাকা এদুটি জরার্জিন গাড়ি গুলোর অবস্থাও যায় যায়। যেকোন সময় দূঘর্টনায় কবলিত হয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূঘর্টনা।
এব্যাপার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এএসআই বলেন, নলকূপটির পানি পান করার উপযোগী না থাকার কারনে বিশুদ্ধ পানি পান করার জন্য আমাদেরকে বাহির থেকে পানি ক্রয় করে আনতে হচ্ছে।
বিশ্বনাথ থানার নবাগত ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, কোয়াটার সংকঠ থাকার কারনে অনেকেই ফ্যামেলি এখানে (বিশ্বনাথে) আনতে পারছে না। তাছাড়া পানি সংকটের কারনে আমাদের বেড়েছে অনেক দূর্ভোগ। আর গাড়ি সংকটের কারনে অনেক সময় আসামী ধরতে আমাদেরকে অনেক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। তারমধ্যে রয়েছে জনবল সংকট।