রবিবার ● ২০ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » শিক্ষা » বিশ্বনাথে জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল : ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান
বিশ্বনাথে জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল : ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (৫ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০৬মি.) বিশ্বনাথ উপজেলার প্রাচীনতম প্রাথমিক বিদ্যাপীঠ সদলপুর-তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল সৃষ্টি এবং একটু বৃষ্টি হলেই পানি গড়িয়ে পড়াতে এই ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এছাড়াও, বৃষ্টির পানিতে পাঠদান ব্যাহত হবার পাশাপাশি অফিস কক্ষের জরুরী কাগজপত্র, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পুরাতন উত্তরপত্র এমনকি দেয়ালে টানানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নষ্টের উপক্রম হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৩৪ইং সনে আধাপাঁকা ঘরে যাত্রা শুরু করা সদলপুর-তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০৩-২০০৪ইং অর্থবছরে সরকারিভাবে নতুন ভবন নির্মিত হয়। নির্মাণকাজে অনিয়মের ফলে মাত্র ১২বছরের মধ্যেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
সরেজমিন সদলপুর-তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথেই একটি পরিত্যক্ত ভবন। পাঠদান চলা ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় অসংখ্য ফাঁটল। অফিস কক্ষের মেঝেতে জমে আছে পানি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানালেন, ‘বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ দিয়ে ভেতরে পানি ঝরে পড়ে। মেঝেতে প্রায় ৫থেকে ৬ইঞ্চি উচ্চতা পরিমান বৃষ্টির পানি জমে থাকে।’ এতে করে শিক্ষার্থীরা যেমন ঝুকি নিয়ে পাঠ নিচ্ছে, তেমনি ঝুঁকি নিয়ে পাঠ দিচ্ছেন শিক্ষকরাও। শুধু তাই নয়, পানি পড়ার কারণে অফিসের জরুরী কাগজপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র রক্ষাও দায় হয়ে পড়েছে। ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়লে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে-এমন আশংকা অভিভাবকমহলের। তারা মনে করেন, এতদঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে এবং নানা ঝুঁকি থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপদ রাখতে নতুন ভবন নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সমশর মিয়া জানান, প্রায় ৫০বছর ধরে বিদ্যালয়ের একটি ভবন পরিত্যক্ত পড়ে আছে। বর্তমান ভবনটিও পরিত্যক্ত হবার উপক্রম। বিদ্যালয়ে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করার জন্যে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহিউদ্দিন আহমদ সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, সদলপুর-তাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে প্রতিবেদন দেবার জন্যে উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম শওকত সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, এ ব্যাপারে তথ্য নিচ্ছি। প্রাইমারী এডুকেশন ইনফরমেশন নামে একটি সফটওয়ারে আমরা এসব বিদ্যালয়ের ডাটাগুলো দেব। এর প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হবে কোন বিদ্যালয়ে নতুন শ্রেণীকক্ষ বা কি পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হবে।