রবিবার ● ২০ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » বরগুনা » বরগুনার বেতাগীতে কদভানু বালিকা বিদ্যালয়ে অতিরিক্তি ক্লাসের নামের ‘কোচিং বানিজ্য’
বরগুনার বেতাগীতে কদভানু বালিকা বিদ্যালয়ে অতিরিক্তি ক্লাসের নামের ‘কোচিং বানিজ্য’
বরগুনা প্রতিনিধি ::(৫ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২৫মি.) বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী কদভানু বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিয়ে কোচিংয়ে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এভাবে কোচিংয়ে বাধ্য করার বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ প্রতকৃয়া ব্যক্ত করেছেন অভিভাবকদের অনেকেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছরের শুরু থেকেই ওই বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কোচিং বানিজ্য শুরু করেন শিক্ষকবৃন্দ। সম্প্রতি গত সপ্তাহে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুরান চন্দ্র হাওলাদার স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেয়া হয়।
ওই নোটিশে ‘শিক্ষার্থীগন বিদ্যালয়ের বাইরে কোথাও কোচিং করতে পারবেনা’ মর্মে উল্লখ করে বলা হয়, অবশ্যই বাধ্যতামুলক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ক্লাস করতে হবে। যদি কেউ বাইরে কোচিং করে তবে ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে। নোটিশ জানানোর পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিকৃয়া সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবম ও দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত কয়েকজন শিক্ষার্থী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের বাধ্যতামুলক বিদ্যালয়ে কোচিং করতে হয় এবং ফি পরিশোধ করতে হয়।
আর্থিক অনটনের কারণে কারো অপরাগতা প্রকাশের সুযোগ নেই। কেউ কোচিংয়ে অনুপস্থিত থাকলে তাকে ফেল করানো, নম্বর কম দেয়া এমনকি টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকী দেয়া হয়। এছাড়াও অভিভাবকদের কাছে কোচিংয়ে পাঠানোর জন্য তাড়া দিয়ে মুঠোফোনে কল করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক। ফলে বাধ্য হয়েই আমাদের বিদ্যালয়ে কোচিং করতে হয়।
ওই বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জিম্মি করে অর্থ অতিরিক্ত ক্লাসের নামে অর্থ আদায় করছে। আমাদের কষ্টার্জিত টাকা দিতে বাধ্য হতে হয়।
নোটিশের বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক জুড়ান চন্দ্র হাওলাদার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, নিয়মানুসারে আমরা অতিরিক্ত ক্লাসের ফি আদায় করে থাকি। তবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা বা রেজাল্ট অথবা টিসি দেয়ার বিষটি তিনি অস্বীকার করেন।
বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন ২০ আগষ্ট রবিবার দুপুরে মুঠোফোনে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, নোটিশ দিয়ে এভাবে কোচিং করতে বাধ্য করা রীতিমত অন্যায়। আমি খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে নিয়মানুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।