মঙ্গলবার ● ২২ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » অটোরিক্সায় চাকায় ওড়না পেছিয়ে কিশোরীর মৃত্যূ : পাশে বসে কাঁদছে শিশু
অটোরিক্সায় চাকায় ওড়না পেছিয়ে কিশোরীর মৃত্যূ : পাশে বসে কাঁদছে শিশু
ময়মনসিংহ অফিস :: (৭ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৪মি.) ময়মনসিংহের নান্দাইলে অটোরিক্সার চাকায় ওড়না পেছিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মৃত্যূ হয়েছে। আর মরদেহের পাশে বসে কাঁদছে চার বছরের এক শিশু। সেইসাথে পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় এ নিয়ে মহাসমস্যা দেখা দিয়েছে।
২২ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে পৗরশহরের চন্ডীপাশা সিনেমা হল এলকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসিরা জানান,চন্ডীপাশা চৌরাস্থা মোড় এলাকা খেকে ওই কিশোরী সাথে একটি ছোট ছেলে নিয়ে অটোরিক্সায় উঠে। চন্ডীপাশা সিনেমা হল এলাকায় আসার পর হঠাৎ যাত্রীর চিৎকার শুনে মেয়েটিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে অটোরিক্সায় চাকায় আটকে যাবার অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরে এলাকাবাসিরা দ্রুত নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নান্দাইল হাসপাতালে লাশ দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, এসময় নিহত মেয়েটির মরদেহের পাশে বসে থাকা ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করা হলে শিশুটি জানায়, তার নাম সোহাগ (৫),মেয়েটি তার আপু (বোন ) সোহাগী (১৮),বাবার নাম সফিক ,মায়ের নাম জানেনা, বাড়ি কখনও ভৈরব আবার কখনও নরসিংদী বলে জানায়।
স্থানীয় ও নান্দাইল মডেল থানা সূত্র জানায়, চন্ডীপাশা চৌরাস্থা মোড় এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত ওই কিশোরী গতকাল সোমবার রাতে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ বাসষ্ট্যান্ডে নামে। পরে কিশোরগঞ্জ যাবার উদ্দেশ্যে বাসে উঠার পর তার পাশের সীটে বসা বাসযাত্রী নান্দাইলের চন্ডীপাশা ধুরুয়া এলকার রানুয়ারা বেগমকে জানায়, মেয়ে মানুষ রাতে এভাবে একা একা বাসে যেতে ভয় করছে। রানুয়ারা ওই কিশোরীকে সহানুভূতি দেখিয়ে রাতে নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন। রাত যাপনের পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই কিশোরী তার ভাইকে সাথে নিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাসা কিশোরগঞ্জের পগলা মসজিদের কাছে যাবার উদ্দেশ্যে অটোরিক্সার যাত্রী হয়ে এ দূর্ঘটনার শিকার হন।
এদিকে নিহত কিশেরীর ছোট ভাই সোহাগকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার বড় বোনের মরদেহের পাশে বসে কান্না করতে দেখা গেলেও নিহতের পরিচয় সনাক্ত না হওয়ায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে। অবুজ শিশু সোহাগ তার বোনের মরদেহ তার সামনে থেকে কোন ভাবেই পুলিশকে নিতে দিচ্ছেনা।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার ইউনুস আলী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, নিহতের পরিচয় সনাক্তের জন্য দেশের সকল থানায় জানানোর পাশাপশি মিডিয়াকর্মীদের সহায়তার মাধ্যমে এ অবুজ শিশুটিকে পরিবারের কাছে পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।