বুধবার ● ২৩ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » আত্রাইয়ে বন্যায় ভেসে গেছে আড়াই শতাধিক পুকুরের মাছ
আত্রাইয়ে বন্যায় ভেসে গেছে আড়াই শতাধিক পুকুরের মাছ
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি ::(৮ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৫৬মি.) নওগাঁর আত্রাইয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষনের ফলে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলের জমি।
এদিকে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আড়াই শতাধিক পুকুরের প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ । বন্যা শুরুর দিকে বিলাঞ্চলে পানি ঢুকতে না পারায় নদীর তীরবর্তী পুকুরগুলো বেশি ডুবে যায়। কিন্তু বর্তমানে একের পর এক বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে উপজেলা ৮ ইউনিয়নের সব মাঠ প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পরে। ফলে উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে হাটকালুপাড়া, কালিকাপুর, শাহাগোলা, পাঁচুপুর, আহসানগঞ্জ ও বিশা ইউনিয়নের প্রায় আড়াই শতাধিক পুকুর ডুবে যায় এবারের বন্যায়। এতে করে ওইসব পুকুরের প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ভেসে যায়।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহেরও বেশি আগে অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পানিতে আকষ্মিকভাবে ফুঁসে উঠে আত্রাই নদী। নদীর পানিতে তলিয়ে যায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পরে হাজার হাজার মানুষ। নদীর পানির তীব্রতায় একের পর এক বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ২৩ আগষ্ট বুধবার এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত আত্রাই নদীর পানি সামান্য পরিমান কমলেও বৃদ্ধি পেয়েছে বিলাঞ্চলের পানি। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ওইসব এলাকার মাঠের ফসল ও পুকুর ডুবে গেছে।
উপজেলা মৎস অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নে ৫০ টি, কালিকাপুর ইউনিয়নে ইউনিয়নে ৪২ টি, শাহাগোলা ইউনিয়নে ৬৮ টি, পাঁচুপুর ইউনিয়নে ২৫ টি, আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে ১৫ টি ও বিশা ইউনিয়নে ৩৮ টি পুকুর ডুবে গেছে। এসব পুকুরে নেট দিয়ে প্রতিবন্ধকতার চেষ্টা করা হলেও পুকুরগুলোর প্রায় সব মাছই ভেসে গেছে। ফলে প্রায় দেড়কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে কালিকাপুর ইউনিয়নের আটগ্রামের আলাউদ্দিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমার তিনটি পুকুর ডুবে গেছে। এই তিন পুকুরে লক্ষাধিক টাকার মাছ চাষ করেছিলাম। পুকুর ডুবে মাছ ভেসে যাওয়ায় আমি চরম আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
এ বিষয়ে নাগরিক উদ্যোগের শাহাগোলা ইউনিয়নের দলিত মানবাধিকার কর্মী দিনেশ কুমার পাল সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমি বেশ কয়েক দিন যাবৎ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এ বন্যায় পুকুর ডুবে মাছ ভেসে যাওয়ায় ফলে উপজেলার মৎস ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং তাদের সহায়তা প্রয়োজন বলেও তিনি মনেকরেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার আনোয়ারুজ্জামান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আকষ্মিকভাবে বন্যা হওয়ায় পুকুর মালিকরাও সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেননি। আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রস্তুত করছি। দেখা যাক তাদেরকে কোন সহায়তা করা যায় কি না।