বুধবার ● ২৩ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » শিক্ষা » সিলেট এমসি কলেজ ভবন নির্মাণের উদ্ভোধন শনিবার
সিলেট এমসি কলেজ ভবন নির্মাণের উদ্ভোধন শনিবার
সিলেট প্রতিনিধি :: (৮ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১৭মি.) সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের দশ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদনের পর শীঘ্রই কাজ শুরু হতে চলেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, আগামী শনিবার (২৬ আগষ্ট) এমসি কলেজে দশ তলা ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের জন্য ক্যাম্পাস আসছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এসময় তিনি সিলেট সরকারি কলেজেও দশ তলা ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।
১৮৯২ সালে রাজা গিরিশচন্দ্র রায় তাঁর পিতামহের নামে সিলেট শহর থেকে তিন মাইল দূরে টিলাগড়ের থ্যাকারে টিলায় ‘মুরারিচাঁদ কলেজ’ প্রতিষ্টা করেন যা বর্তমানে এমসি কলেজ নামেই বেশী পরিচিত।
টিলা আর সমতলের সমন্বয়ে গড়ে উঠা প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত এ ক্যাম্পাস সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র।
বৃটিশ আমলে করা টিলার উচু আর নিচু উভয় পারেই দৃষ্টিনন্দন বিল্ডিং, এনেক্স ভবন আর রাস্তার ধারে গাছের সারিগুলো দেখতে অবর্ণনীয়।
এমসি কলেজ ক্যাম্পাস পুকরের উত্তর দিকের ছাত্র মিলনায়তন আর ক্যান্টিন ভেঙ্গে নতুন দশ তলা বিল্ডিংয়ের ভিত্তিপ্রস্থরের জন্য ফলক বসানো হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিমত এ জায়গায় দশ তলা ভবন নির্মাণ হলে হুমকির মুখে পড়বে ঐতিহ্যবাহী এ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য।
ক্যাম্পাসের ভেতরের প্রধান সড়কের পাশে আর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের গাঁ ঘেষে এ ধরনের ভবন নির্মাণ ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলবে। ক্যাম্পাসের মধ্যখানে এ ধরনের ভবন আড়াল করবে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য।
সম্মান চতুর্থ বর্ষের একশিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ক্যাম্পাসের এ জায়গায় ভবনটি না করে অন্য জায়গায় করলে ঐতিহ্যবাহী এ ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটা থাকত।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কলেজে বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণী সংকট রয়েছে, ভবন হওয়া প্রয়োজন তবে এ জায়গায় না করাটাই ভালো।’
সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টিন বন্ধ তা খুলে দেয়ার বদলে প্রশাসন এখন নতুন ভবন নির্মাণের জন্য এ জায়গা নির্ধারিত করেছে পাশাপাশি স্পোর্টস রুম এতোদিন খোলা থাকলেও এখন তাও দীর্ঘদিনে জন্য বন্ধ হতে চলেছে।
ছাত্র মিলনায়তনে ছোট পরিসরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এতোদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি করলেও এখন উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা ছাড়া গত্যন্তর থাকছে না বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
১২৪ একরের ক্যাম্পাসের অন্য যেকোনো জায়গায় দশ তলা ভবনটি করার কথা ঘুরেফিরে বলছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তবে কলেজ প্রশাসন বলছে ভবন নির্মাণের কাজটির বাস্তবায় করাচ্ছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।