শুক্রবার ● ২৫ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীদের চাকুরী জাতীয়করণে হাইকোর্টের রায়
কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীদের চাকুরী জাতীয়করণে হাইকোর্টের রায়
সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মচারী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোাভাইডারদের (সিএইচসিপি) চাকুরী জাতীয়করণের জন্য হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ জাতীয়করণের জন্য রায় প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে দ্বৈত বেঞ্চের বিচারক মো. আশফাকুল ইসলাম ও আশিস রঞ্জন দাস ৩২১৬/২০১৭ এবং ৩৬০৮/২০১৭ রীট পিটিশন নম্বরে জাতীয়করনের রায় দেন। সিএইচসিপিদের পক্ষে শুনানী করেন এ্যাড.সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
জানা যায়,আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর ১৯৯৮ সালে ছয় হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সরকার পরিবর্তন হলে তৎকালীন সরকার ২০০১ সালে প্রকল্পটির কর্যক্রম বন্ধ করে দেয়। জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প পুনরায় চালু হয়। ২০১১ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার হিসেবে ১৩ হাজার ৫০০ জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। বিভিন্ন সময় সিএইচসিপির চাকরি জাতীয়করণের আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্প রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি।
চাকুরী অনিশ্চিতার জন্য সারা দেশ থেকে ১০ জন সিএইচসিপি চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারী চাকুরী জাতীয়করনের জন্য রিটপিটিশন দায়ের করেন। এরই ধারাহিকতায় একই বিষয়ে সারাদেশ থেকে প্রায় ৫২টি রিটপিটিশন দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের বিচারক জাতীয়করনের রায় দেন।
এবিষয়ে সিএইচসিপির চাকুরী জাতীয় করন দারী আদায় বাস্তাবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম ও সদস্য আশরাফুল আলম রানা বলেন, সরকারের কাছে বার বার আমাদের ন্যায় সঙ্গত দাবী জানানো হয়। কিন্তু সরকার দাবী পুরন না করায় আমরা উচ্চ আদালতে শরাপন্ন হই। রায় প্রকাশে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি সরকারের প্রতি রায় মেনে নিয়ে দ্রুত চাকুরী জাতীয়করণের দাবী জানান।
প্রসঙ্গত গ্রামীণ মানুষের হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রতি মাসে ৮০ থেকে ৯০ লাখ গরিব মানুষ সেবা গ্রহণ করেন।