শনিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » জয়দেবপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকের লালসায় ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা
জয়দেবপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকের লালসায় ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১১ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সকাল ১১.১১মি.) গাজীপুরের জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে।
ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গত প্রায় দুই মাস ধরে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
সম্প্রতি ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ মনিরুজ্জামান (৪০) প্রভাতী শাখার সহকারী বাংলা শিক্ষক। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে। তিনি এখানে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে যোগদান করেন। ইতিমধ্যে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সাথে কৌশলে তার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার বাবা-মায়ের নজরে আসে। এরপর থেকে লোকলজ্জার ভয়ে তার বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ঘটনাটি জানার পরও ২৩ আগস্ট বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষককের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে, উল্টো দু’দিনের ছুটি প্রদান করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান। তার অন্যত্র বদলির তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিস্তারিত পরিচয় জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তা না দিয়ে শ্রেণি শিক্ষক পরিমল চন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষক মনিরুজ্জামান প্রধান শিক্ষকের সরকারি বাসভবনে থাকেন। তিনি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় আপত্তিকর আচরণ করেন। আর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওঠে পড়ে লেগেছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে জেলা প্রশাসক, এডিসি (শিক্ষা), জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজি অফিসে জানিয়েছি। ছাত্রীর পরিবার লিখিত অভিযোগ না করায় ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। ছাত্রীর পরিবার চাইলে তাকে অন্য স্কুলে ব্যবস্থা করে দেব।
শ্রেণি শিক্ষক পরিমল চন্দ্র বলেন, ওই ছাত্রী জুলাই থেকে স্কুলে আসে না। আর তেমন কিছু জানি না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে প্রথমে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। কিছু সময় পর কল হলেও তিনি রিসিভ না করে মোবাইল বন্ধ করে দেন।
জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে ঘটনা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বা ডিজি অফিস সিদ্ধান্ত দিলে তদন্ত হবে। প্রধান শিক্ষক কীভাবে ছুটি মঞ্জুর করেছেন, আমার জানা নেই।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক ডঃ দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, আমি ওই শিক্ষককে বদলির জন্য একটি চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে প্রধান শিক্ষক সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন। অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে কি না, এটা চিঠিতে নেই। যদি এ রকম ঘটনা ঘটে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।