শনিবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন
পলাশ বড়ুয়া, উখিয়া প্রতিনিধি :: (১১ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২০মি.) রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে মো. মাঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ২৬ আগষ্ট শনিবার সকালে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোছাইন বলেন, কোনমতেই একজন রোহিঙ্গাকেও অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কোন অবস্থাতেই একজন রোহিঙ্গাকেও আর এদেশে ঢুকতে দেওয়া হবেনা। মানবতার নামে আর একজন রোহিঙ্গাকেও সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হবেনা। মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিয়ে যা কিছু সমস্যা তা তাদের দেশের অভ্যন্তরিন এবং তারাই সমাধা করবে। এ বিষয়ে প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল বলেন, এখানকার মানুষ রোহিঙ্গাদের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারণে বনভূমি ধ্বংস সহ সার্বিক পরিস্থিতি বিনষ্ট হচ্ছে। তাই সবার সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাউলাও মার্মা, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল খাইর ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।
এছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতেও শুক্রবার মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশে শতাধিক লোক মারা যাওয়ার ফলে সেদেশের সেনাবাহিনী মিয়ানমার বিদ্রেুাহী দমনের নামে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে তল্লাশী চালিয়ে গণগ্রেফতার শুরু করেছে। ফলে অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসার অপেক্ষায় রয়েছে বলে কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তির সেক্রেটারী মো. নুর ও বালুখালী বস্তির সেক্রেটারী লালু মাঝি এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফ, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র টহল জোরদার সহ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা নাফ নদী ও স্থল পথ ফাড়ী দিয়ে এদেশে চলে এসে বালুখালী বস্তি, কুতুপালং বস্তি, নয়াপাড়া বস্তি, মুচনী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ নুর জানিয়েছে।