রবিবার ● ২৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » রাঙামাটিতে রাজবন বিহারে প্রথম ত্রিপিটক বাংলায় প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন
রাঙামাটিতে রাজবন বিহারে প্রথম ত্রিপিটক বাংলায় প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন
ষ্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান তীর্থস্থান রাঙামাটি রাজবন বিহার থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলায় পূর্ণাঙ্গ ত্রিপিটকের প্রথম বাংলা সংস্করণের মোড়ক ২৫ আগষ্ট শুক্রবার বিকালে উম্মোচন করা হয়েছে। বাংলায় সমগ্র ত্রিপিটক প্রকাশনা কমিটি ও ত্রিপিটক পাবলিশিং সোসাইটি বাংলাদেশ দেড় বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই পবিত্র গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে।
পালি ভাষায় রচিত ৫৯ খন্ডে ত্রিপিটক গ্রন্থকে বাংলা ভাষায় ২৫ খন্ডে বিভক্ত করে এটি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলায় সমগ্র ত্রিপিটক প্রকাশনা কমিটি ওইদিন ঐতিহাসিক রাজবন বিহার মাঠে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে। শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভন্তের শিষ্যসংঘের শীর্ষ গুরু ও রাজবন বিহারের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও চাকমা রানি ইয়ান ইয়ান রায় হাজারো ভক্ত বৃন্দের সা-ধু সা-ধু ধ্বনির মধ্য দিয়ে এই পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থটির মোড়ক উম্মোচন করেছেন। এই সময় রাজবনবিহার হাজারো ভক্ত বৃন্দে ভরপুর হয়ে উঠে।
সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক দায়ক-দায়িকারা অংশ গ্রহন করে। এ উপলক্ষে রাজবন বিহারে ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত দিন ব্যাপী ২ পর্বের নানা অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়। ত্রিপিটকের মোড়ক উম্মোচনের পরপর বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের নিকট ত্রিপিটকের শুভেচ্ছা কপি তুলে দেয়া হয়। প্রথম কপি তুলেদেন রাজবন বিহারের প্রধান ধর্মীয় গুরু প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরকে। এর পর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে ত্রিপিটকের একসেট কপি তুলে দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা ত্রিপিটক গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আগতদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা ভাষণ দেন ত্রিপিটক প্রকাশনা কমিটির সভাপতি মধু মঙ্গল চাকমা।
রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন রায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান জিনবোধি মহাস্থবির, সহযোগী অধ্যাপক জ্ঞানরত্ন মহাস্থবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার আহম্মেদ, পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. দীলিপ কুমার বড়ুয়া, মেজর (অব.) অজয় চাকমা ও গৌতম দেওয়ান প্রমুখ।