রবিবার ● ২৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » দীর্ঘ ২ বছরেও জোতপারমিটের কার্যক্রম এখনো খাগড়াছড়িতে স্থানান্তর হয়নি
দীর্ঘ ২ বছরেও জোতপারমিটের কার্যক্রম এখনো খাগড়াছড়িতে স্থানান্তর হয়নি
মাইনউদ্দনি, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (১২ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১০মি.) প্রধান বন সংরক্ষককের দপ্তর থেকে বন সংরক্ষক রাঙামাটি অঞ্চল প্রধানকে পত্র দেওয়া হলেও দীর্ঘ ২ বছরেও রাঙামাটি থেকে জোতপারমিটের কার্যক্রম খাগড়াছড়িতে এখনো স্থানান্তর হয়নি।
ফলে এখানকার পাহাড়েরর বাগান মালিকরা বাগান করতে উৎসাহ ও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ২০১৫ সালে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে খাগড়াছড়িতে থাকা রাঙামাটির উত্তর বন বিভাগে নাড়াইছড়ি রেঞ্জ, হাজাছড়া রেঞ্জ,মেরুং রেঞ্জ, খাগড়াছড়ি রেঞ্জ, ভাইবোনছড়া রেঞ্জ ও লক্ষিছড়ি রেঞ্জ এর সকল কার্যক্রম । খাগড়াছড়িতে করার বিষয়ে উথাপন করা হয়। অথচ দীর্ঘ সময়েও এ কার্যক্রম এখনো খাগড়াছড়িতে স্থানন্তর করা হয়নি।
খাগড়াছড়ি জেলায় এসব ৬টি বন বিভাগ রেঞ্জে অবস্থান হলেও এখানকার জোতপারমিটের জন্য সকলকে দৌড়ঝাপ করতে হয় রাঙামাটি জেলায় গিয়ে। এখানকার বেশ কয়কজন বাগান মালিকদের সাথে আলাপকরে জানা যায়, তাদের সন্তান ও পরিবারের ভবিষৎ জীবন চিন্তা করে আমরা এখানে নানা জাতের বিশেষ করে গামারি, সেগুন, করাই, চাপালিশসহ নানা জাতের গাছের বাগান করে থাকি। এসব গাছ বড় হওয়ার পর আমরা আমাদের গাছ কাটতে পারি না। কেননা বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া এসব কাঠ বাহিরে বিক্রিও করতে পারি না।
এ অবস্থায় জোতপারমিট তৈরির মাধমে এ গাছ সম্পাদন করার জন্য আমাদের দৌড়াতে হয় রাঙামাটি জেলায়। অধিকাংশ বাগান মালিক এই ৬টি রেঞ্জের আওতাধীন হওয়া বাগান মালিকরা জোতপারমিট কার্যক্রমে অর্থনৈতিক ও সময়ের কাল ক্ষেপন দুইটির চরম শিকার হচ্ছে।
এসব জটিলতা থেকে নিরসন পেতে জোটপারমিট বাগান মালিক ও কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়িতে জোতপারমিটের কার্যক্রম স্থানন্তর করার জন্য দাবি নিয়ে নানান কর্মসূচি পালন করে।
জনাগেছে, বিষয়টি নিয়ে ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর জেলা প্রশাসকদের ঢাকা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য প্রধান বন সংরক্ষককের দপ্তর থেকে বন সংরক্ষক রাঙামাটি অঞ্চল প্রধানকে পত্র দেওয়া হয়। সহকারি প্রধান বন সংরক্ষক মো. আবু নাসের খান স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা,মহালছড়ি ও লক্ষিছড়ি উপজেলা ৩টি বনাঞ্চল খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার আওতাধীন করার বিষয়ে সু-স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। অথচ দীর্ঘ ২ বছরেও তা বাস্তবায়নের মূখ দেখেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোমিনুর রশিদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান,খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে রাঙামাটি অধীনে থাকা ৪টি উপজেলার রেঞ্জকে আলাদা করার জন্য পূনঃবিন্যাসের কার্যক্রম চলছে। তিনি আরো জানান খাগড়াছড়ি বন বিভাগকে প্রধান কার্যালয় করে সহসা এ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শওকত উল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, এখানকার বাগান মালিক ও আমরা ব্যবসায়ীকরা যৌথভাবে এ জেলার অধিনে ৪টি উপজেলার বন বিভাগের রেঞ্জের কার্যক্রম রাঙামাটির পরিবর্তে দীর্ঘ দিন ধরে খাগড়াছড়ি জেলায় স্থানন্তরের দাবি জানিয়ে আসছি। অথচ আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে। খাগড়াছড়ি জোত বাগান মালিক সমিতির সভাপতি উমেশ কান্তি চাকমা জানান, আমরা বাগান মালিকরা বাগানের গাছ কাটার জন্য অনুমতি ও জোতপারমিট বানাতে দৌড়াতে হয় রাঙামাটিতে।
এঅবস্থায় জীবনের ঝুকি নিয়ে পাহাড়ের দূর্গম পথ পেরিয়ে অর্থ ও সময় ব্যয় করে তাদের জোতপারমিটের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তিনি সহসা এ সমস্যা নিরসনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।