মঙ্গলবার ● ২৯ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ভারতীয় গরুর কারণে খামারিদের লাভের মুখে ছাই
ভারতীয় গরুর কারণে খামারিদের লাভের মুখে ছাই
ছনি চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: কোরবানির সময় গরু বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবে এমন আশায় জেলার খামারিরা পশু মোটাতাজা করলেও সে লাভের মুখে ছাই পড়েছে। কারণ দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু প্রবেশ করায় এর প্রভাব পড়েছে এখানকার খামারিদের মধ্যে। এ কারণে গরু খামারিদের মাথায় হাত উঠেছে!পশু খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার খামারে ১৩টি গরু রয়েছে। এ বছর খড়, ভুসি, খৈলসহ গরুর খাবারের দাম অনেক বেশি ছিল। আশা করেছিলাম কোরবানির সময় গরু বিক্রি করে একটু লাভ করব। কিন্তু বাজারে ভারতীয় গরু আসার কারণে আমাদের লাভতো দূরের কথা খরচই উঠছে না।’ খামারি হান্নান মেম্বার বলেন, ‘আমার খামারে ছোট বড় ১৭টি গরু রয়েছে। আমরা দেশীয় পদ্ধতিতে খড়-ভুসি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেছি। এ কারণে আমাদের খরচ বেশি হয়েছে।’ কোরবানির আগে ভারত থেকে দেশে পশু আনতে হবে কেন এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় গরু আনতে হলে বছরের সব সময় আনা হোক। তা হলে আমাদের আর সমস্যা হবে না। কারণ হঠাৎ করে ঈদের সময় পশু আসলে আমরা লোকসানে পড়ি। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গরুর খামার করা হয়েছে। ভারতীয় গরু হাটে আসার কারণে আমাদের গরুর দাম কমে গেছে। এখন আমরা লাখ লাখ টাকার ঋণ কীভাবে পরিশোধ করব?’ গরু খামারি আবুল খায়ের জানান, তার খামারের দুটি গরু বিক্রি করতে পারছেন না। চার মাস আগে যে গরুর দাম ৮০ হাজার টাকা ছিল, সেই গরুই এখন ৬৫ হাজার টাকার বেশি দাম উঠছে না। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি। হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কমকর্তা জানান, জেলা পশু অফিসের হিসাব অনুযায়ী এ বছর এখানে কোরবানির জন্য গরুর চাহিদা হবে প্রায় ১০ হাজার এবং ছাগলের চাহিদা হবে ৪ হাজার। অর্থাৎ জেলার চাহিদার চেয়ে তিনটি উপজেলায় মোট ৭ হাজারের বেশি গরু এবং ২ হাজার ছাগল মোটাতাজা করছে জেলার কৃষকরা। অর্থাৎ এবছর জেলার চাহিদা থেকে বেশি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। যা দেশের বিভিন্ন হাটে বিক্রি করা হবে।