মঙ্গলবার ● ২৯ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » আত্রাইয়ে কৃষকের মাঝে নেই ঈদ আনন্দ
আত্রাইয়ে কৃষকের মাঝে নেই ঈদ আনন্দ
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: (১৪ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৫৪মি.) নওগাঁর আত্রাই পুরো এলাকা জুড়ে কৃষকের মাঝে নেই ঈদ আনন্দো। বন্যা কবলিত আত্রাই অঞ্চলের মানুষের ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। ঈদ দুয়ারে কড়া নাড়লেও সেখানে ঈদেও আমেজ নেই। চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে আত্রাইয়ের মানুষের। অর্থাভাবে বেশিরভাগ পরিবারেই এখনো কেনা হয়নি নতুন জামাকাপড়। কেউ কেউ বিলে মাছ ধরে কোন রকমে জীবনধারণ করছেন। আবার অনেকেই জীবিকার তাগিদে ছেড়েছেন নিজ গ্রাম। সে সব পরিবারের সদস্যরা গৃহকর্তার ফেরার আশায় দিন গুনছেন। ফলে আত্রাই উপজেলার কৃষকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে ঈদ নিয়ে বাড়তি কোন উচ্ছাস নেই। অকাল বন্যায় নিঃস্ব আত্রাই উপজেলার বাসিন্দাদের বেশির ভাগই এবার বঞ্চিত হবেন ঈদ আনন্দো থেকে। ক্রেতাশূণ্যতায় আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানিরা। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে এ সময়টিতে জামজমাট বিকিকিনি হলেও এ বছর অন্য দৃশ্য। ঈদের বর্ণিল সাজে দোকানগুলো সাজলেও ক্রেতা কম। কারণ একটাই, এমন দুর্যোগের পর হাত খালি মানুষের। আত্রাইয়ে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ও অবিরাম বর্ষণের ফলে উপজেলায় এবারের বন্যায় এগারো হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে নেই এবার ঈদ আনন্দো। গত দুই দুই বার বর্ষা মৌসুমে এভাবেই বন্যার পানিতে সমস্ত ফসল তলিয়ে যায়। ফলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে উপজেলার কৃষকেরা। এদিকে কৃষকদের মতে আমন ধানে যেহেতু উৎপাদন খরচ অনেক কম অথচ বজার মূল্য ভালো পাওয়া যায়। তাই তারা আমন দিয়ে বোরোর ক্ষতি পুশিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ও বিভিন্ন ফসল চাষ করেছিল। কিন্তু আষ্মিকভাবে ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার সমস্ত ফসল মুহুর্তের মধ্যে তলিয়ে যায়। দু’ বেলা দু’ মুঠো ভাতের জন্য পরিবার বাঁচাতে যাদের সর্বক্ষণিক দৌড়ঝাঁপ ঈদ বাজারের দিকে তারা কি আর খেয়াল রাখেবে। উপজেলার কৃষি ও মৎসজীবীরা জানালেন এ বছর যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বৃষ্টি। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ও অবিরাম বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় তারা এখন ঘর বাড়ি হারা। তাই ঈদ এলেও তারা এখন চরম অসহায়। একদিকে হাতে নেই টাকা। অন্যদিকে গৃহহীন। তাদের ছেলে-মেয়েরা ঈদের নতুন জামা কাপড়ের আবদার করলে তারা শুধুই দু’ চোখের জল ফেলছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাউছার হোসেন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, উত্তরাঞ্চলের খাদ্যের বৃহৎ চাহিদা মেটাতে সহায়ক হতো আত্রাইয়ের উৎপাদিত আমন ধান।
এবারের বন্যায় কৃষকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে র্ঊধ্বতন র্কতৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি। আশা করা যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা সহায়তা দিয়ে আগামী দিনে সহায়তা প্রদান করা হবে।