শুক্রবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » ৫০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : খাদ্য সহায়তা জরুরী
৫০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : খাদ্য সহায়তা জরুরী
পলাশ বড়ুয়া, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: মিয়ানমারে সহিংসতা পরবর্তী ৩১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী শরনার্থী শিবিরের বস্তিতে সীমান্ত পার হয়ে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা নর নারীও শিশু প্রবেশ করেছে।
সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাধিন ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকার রেজু আমতলী, বাইশপারী, তুমব্র“, উখিয়ার আঞ্জুমান পাড়া, কলাবাগান, মাঝের পাড়া, ধামনখালীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের উপর নির্যাতন, জুলুম, নিপীড়ন, ঘর বাড়িতে আগুন, মানুষ হত্যা অব্যাহত রেখেছে। এ জাতিগত বিরোধী ও ধ্বংস লীলার কোন উত্তর খুঁজে না পেয়ে সহায় সম্বলহীন অবস্থায় পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গারা।
৩১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার তুমব্রু সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওপারে হাজারো রোহিঙ্গারা জিরো পয়েন্ট এলাকায় তাবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছে। এপারে তুমব্রুতে অন্তত ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ঘিরে রেখেছে বিজিবি’র সদস্যরা। ওপার হতে পালিয়ে আসা নির্যাতনের শিকার জখমি রোহিঙ্গাদেরকে বিজিবি’র সদস্যরা চিকিৎসা সেবাও দিয়েছে।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তির সভাপতি আবু ছিদ্দিক সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, এ পর্যন্ত তাদের ক্যাম্পে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা নর নারী ও শিশু ঢুকে পড়েছে। বালুখালী ক্যাম্পের লালু মাঝি জানান, এ বস্তিতে প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। নতুন রোহিঙ্গাদের জন্য ঝুপড়ি নির্মাণ করে বসবাস করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ, তারা পালিয়ে আসার সময় সাথে করে নিয়ে আসা গরু, ছাগল, লুটপাট করেছে সীমান্তের লোকজন।
কুতুপালং ক্যাম্প ঘুরে তাদের তথ্যমতে ২ জন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা হলো ফকিরা বাজার চিকন ছড়ির ছৈয়দ উল্লার ছেলে মো. ফারুক ও মংডুর হাতিপাড়ার রশিদ উল্লার ছেলে জুনায়েদ ও ছাদেক, মুজিব উলাহ। তাদের ৪ জনের মধ্যে ২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মেদিনি পাড়ার বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ১২ গ্রামের ১০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে সীমান্তে। তারা গত ৬ দিন ধরে অনাহারে রয়েছে।
৩৪ বিজিবি’র ডাক্তার শহিদুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, গত ২ দিনে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী পুরুষ, শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তুমব্রু এলাকায়। অনুরুপ রেড ক্রিসেন্টের লোকজন তুমব্রুতে আটকা পড়া রোহিঙ্গাদের পানি ও শুকনা খাবার দিচ্ছে বলে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে। এসব অনাহারী রোহিঙ্গাদের দ্রুত খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সুশিল সমাজ।