শুক্রবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » লামায় বিরোধ মিমাংসার উদ্যোগ নিলেন পৌর মেয়র
লামায় বিরোধ মিমাংসার উদ্যোগ নিলেন পৌর মেয়র
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (১৭ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.২৩মি.) লামায় দু’পক্ষের বিরোধপূর্ন সীমানায় লাগানো ঘেরা-বেড়া তুলে দিলেন পৌর মেয়র মো. জহির নিজেই। ঈদের পর আপোষ মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে বেড়া তুলে দিয়ে লামা পৌরসভা মেয়র জানান, এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কোন সুযোগ দেয়া হবেনা।
জানা যায়, লামা উপজেলার ২৯৩ নং ছাগল খাইয়া মৌজাস্থ্য ৬২ নং খতিয়ানের আন্দর ৮১২, ৮১৩ দাগের সাথে একই খতিয়ানের ৮১৪ দাগের অংশে বিগত দিন থেকে সীমানা বিরোধ চলে আসছে। প্রায় ১০ বছর ধরে দু’পক্ষের মধ্যে চলমান এই বিরোধকে কেন্দ্র করে সম্পর্কে ফাটল ধরে।
বিষয়টি মিমাংসার জন্য সামাজিকভাবে কয়েক দফা উদ্যাগ নেয়া হয়েছিল।
এছাড়া লামা বিদ্যুত সঞ্চালন কেন্দ্রের পাশ্বস্থ ৮১২ দাগে অবস্থিত প্রধান সড়ক, তার পরের অংশ ৮১৩ দাগের সাথে ৮১৪ নং দাগের সীমানা নিয়ে মরহুম মনু মিয়ার ওয়ারিশ ইসমাইল, দেলোয়ার হোসেন রফিক গংদের সাথে একই এলাকার বাসিন্দা আমিরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
এ নিয়ে সামাজিক সিদ্ধান্ত ক্রমে অনেকবার জমি পরিমাপ পরিচিহ্নিত করা হয়। কিন্তু পরিমাপের বিষয়ে উভয়ের মধ্যে সন্দেহের অবকাশ ঘটায়, বিষয়টি অমিমাংসিত থেকে যায়। যা থানা পর্যন্ত গড়ায়।
এদিকে অ-মিমাংসিত সীমানার কিছু অংশে বসত ঘরের নিরাপত্তার জন্য আমিরুল ইসলাম একটি টিনের ঘেরা-বেড়া লাগায়। এর আগে সীমানার প্রায় শতগজ দক্ষিণে একইভাবে আনোয়ারা বেগমও বাঁশের কঞ্চিদ্বারা আরো একটি নিরাপত্তা বেষ্টনি দেয়। এ নিয়ে ইসমাইল গংদের মাঝে সীমানা বেদখলের আশংকা তৈরি হয়।
ব্যাপারটি তাৎক্ষনিক বিরোধ নিস্পত্তি কারীদেরকে ও থানায় অবগত করেন তারা। ২৯ আগষ্ট বিকালে বিষয়টি জানার পর মধ্যস্থতাকারীরা ইসমাইল গংদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বেড়া লাগিয়ে জায়গার মালিক হওয়া যায়না। সূতরাং এনিয়ে আপনারা উভয় পক্ষদ্বয় শান্ত থাকুন, ঈদের পরে মেয়রের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সুরাহা করা হবে।
প্রসঙ্গত পূর্বের ঘটনার জের ধরে গত ৩০ আগষ্ট ইসমাইল গংরা বেড়া ভেঙ্গে দেয়ার জন্য গেলে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারামারি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এতে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়। এদিকে পৌর মেয়র গতকাল রাতে এলাকায় ফিরে বিরোধপূর্ন সীমানায় ঘেরা-বেড়ার দৃশ্য দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
আজ ১ সেপ্টেম্বর সকালে তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে সমাজের লোকদ্বারা বিতর্কিত ঘেরা সমুহ তুলে ফেলেন।
৩০ আগষ্ট বিকালে দু’পক্ষের মারামারির বিষয়টি নিয়ে মেয়র জহিরুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করেন।
এঘটনার পরিপেক্ষিতে সরেজমিনে দেখতে গেলে এলাকাবাসি সিএইচটি মিডিয়া টুয়েনটিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে বলেন আমরা একই এলাকায় পাশাপাশি বসবাস করি,আমাদের সামাজিক অবস্থান একই পরিবারের মত।
অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটে গেছে আমরা কেহই তা আশা করিনি। এলাকাবাসি লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরকে ধন্যবাদ জানায় বিরোধ নিস্পত্তির উদ্যোগ গ্রহন করায়।