রবিবার ● ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » কাশিমপুর কারাগারে ঈদ: সাঈদী-বাবররা খেলেন পায়েস-মুড়ি
কাশিমপুর কারাগারে ঈদ: সাঈদী-বাবররা খেলেন পায়েস-মুড়ি
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৯ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩১মি.) গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ঈদুল আজহার দিন সকালে পায়েশ-মুড়ি দিয়ে নান্তা করেছেন। অবশ্য ওই কারাগারে বন্দিদের জন্য আলাদাভাবে ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের দিন সারাদেশে কারাবন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকে। যা শনিবার কোরবানির ঈদেও ছিল।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদন্ডে দন্ডিত সাঈদী এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বাবর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ রয়েছেন।
এই কারাগারের বন্দিদের জন্য আলাদাভাবে ঈদের জামাত হয় বলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর কারাধ্যক্ষ সুব্রত কুমার বালা জানান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, এখানে বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, এমপি আমানুর রহমান রানাসহ এক হাজারের মতো বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৮০ জন ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত।
এখানে ঈদের দিন বন্দিদের নামাজ আদায় করার জন্য আলাদাভবে চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। চারটি কারাগারেই বন্দিদের সকালের নাস্তায় পায়েস ও মুড়ি দেয়া হয় বলে জানান সুব্রত কুমার বালা।
বন্দিদের দুপুরের খাবারে থাকছে আলুর দম, রুই মাছ ভাজা, ডিম, সাদা ভাত। রাতে পোলাও-মাংস, সালাদ, মিষ্টি, পান-সুপারী, কোমল পানীয় পাবেন তারা।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কারাররক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, তার কারাগারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, ময়মনসিংহের এমপি হান্নান মিয়াসহ দুই হাজারের বেশি বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪০ জন ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, সেখানে বন্দির জন্য দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কারাগারের ১ হাজার ৭০০ জন বন্দির মধ্যে ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত ৬০০ জন।
গাজীপুর জেলা কারাগারের কারাধ্যক্ষ মো. নেছার আলম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, তার কারাগারে নারী-পুরুষসহ এক হাজারের মতো বন্দি রয়েছেন। তবে সেখানে ফাঁসির কোনো আসামি নেই।