বৃহস্পতিবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » লামাতে খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি
লামাতে খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি
এবিএম জাবের উদ্দিন, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (২৩ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২৭মি.) বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অর্ধশতাব্দী পর পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া খালের ওপর তৈরি হয়েছে সাঁকো। সাঁকো পেরিয়ে নির্বিঘ্নে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ছোট বমুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ ঘেঁষে প্রবাহিত হচ্ছে ছোট বমু খাল। বর্ষায় খালের প্রবল স্রোতের কারণে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না খালের উত্তর পাড়ের পাঁচটি গ্রামের শিক্ষার্থীরা।
এ জন্য এলাকার বাসিন্দারা বমু খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর পর খালের ওপর নির্মিত হয়েছে কাঠের সাঁকো। সাঁকো পার হয়ে এখন নির্ভয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীরা।
ছোট বমুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ওয়াহিদুল্লাহ ছোট বমু খালের ওপর একটি কাঠের সাঁকো তৈরির উদ্যোগ নেন। পরে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের চাঁদার টাকায় গত ৮ আগস্ট খালের ওপর তৈরি হয় ৩৫ ফুট লম্বা সাঁকো।
সাঁকো নির্মাণে ব্যয় হয় মাত্র সাড়ে ছয় হাজার টাকা। সাঁকো নির্মিত হওয়ায় ছোট বমু খালের উত্তর পাড়ে অবস্থিত বলিপাড়া, ওয়াংপাড়া, পানছড়িপাড়া, ছোট বমু মুসলিমপাড়া ও ভিলেজারপাড়ার শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির সময়ও বিদ্যালয়ে যেতে পারছে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শংখুইহ্লা মারমা বলে, ‘বর্ষায় আমরা বিদ্যালয়ে আসতে পারতাম না। নতুন কাঠের সাঁকো হওয়ার পর এখন বৃষ্টি হলেও বিদ্যালয়ে আসতে পারছি।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উচাসিং মারমা বলেন, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত লামার ছোট বমুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে ছোট বমু খাল পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অবশেষে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাঁকো তৈরি হলো।
ছোট বমু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ওয়াহিদুল্লাহ সিএইচটি মিডিয়াটুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা চিন্তা করে বমু খালের ওপর একটি কাঠের সাঁকো তৈরির উদ্যোগ নিই আমরা। এরপর এলাকাবাসী আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। সবার সহযোগিতায় সাড়ে ছয় হাজার টাকা খরচ করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিন ওয়ান নু সিএইচটি মিডিয়াটুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ছোট বমু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয় যেতে এত কষ্ট হয় আমি আগে জানতাম না।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।