সোমবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » খেলা » নবীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ
নবীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: দর্শকের আনন্দ উচ্ছাস এবং শাখা বরাক নদীর পানিতে চলাত চলাত শব্দের মধ্যদিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ছোট সাকোয়া এলাকার শাখা বরাক নদীতে সর্দারপুর যুব সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন এলাকার আট‘টি নৌকা। এ প্রতিযোগিতায় এর আগে ৩য় রাউন্ডে পৃথক বাইছে ৪ টি নৌকার দৌড় সমান (ড্র) হওয়ায় গত শনিবার বিকালে ফাইনাল অনুষ্টিত হয়। ফাইনালের পূর্বে চারটি নৌকা-নবীগঞ্জের হালিতলা, বানিয়াচঙ্গের বাগহাতা, আজমিরিগঞ্জের জিলুয়া ও জগন্নাতপুরের গুতগাঁও‘র নৌকার মধ্যে ৩য় রাউন্ডের দৌড় শেষে বিজয়ী দুটি নৌকার ফাইনাল দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে লড়ে বানিয়াচঙ্গের বাগহাতা নৌকা ও নবীগঞ্জের হালিতলা। চ্যাম্পিয়ন হয় বানিয়াচঙ্গের বাগহাতা।
প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি হিসাবে পুরস্কার বিতরণ করেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নুরুল ইসলাম।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রাথমিক যুগ্ম সম্পাদক রুবেল মিয়ার পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার, নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল এএসপি রাসেলুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হাসান খাঁন, থানার ওসি আতাউর রহমান, পৌরসভারও আওয়ামীলীগ নেতা প্যানেল মেয়র এটিএম সালাম, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মালিক, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম, জাকির হোসেন, কাগাপাশা ইউপির চেয়ারম্যান এরশাদ আলী, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সলিল বরণ দাশ, দৈনিক বিবিয়ানার বার্তা সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্না।
আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল কদ্দুছ সাগর, সুনুক মিয়া, আকমল হোসেন, আকলুছ মিয়া, সেলেন মিয়া, কালাম মিয়া, আব্দুল ওয়াদুদ, মাসুক মিয়া, ইছুব মিয়া, শাহ আমীন, দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।
নৌকা বাইচ দেখতে দুপুরের পর থেকেই নদীর পাদদেশে বিভিন্ন এলাকার শিশু-কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ জমায়েত হতে থাকেন। প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে নদীর দু’পাড়ে ঢল নামে হাজারো মানুষের ঢল। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া নৌকার মাঝিরা কখনো একদল আরেক দলকে পেছনে ফেলে আগে ওঠে। আবার পেছনে পড়ে। এসময় নদীর দু’পাড়ে দাঁড়ানো হাজার হাজার দর্শকশ্রোতা তীব্র করতালির মাধ্যমে তাদেরকে উৎসাহ যোগিয়ে যান। অনেকে আবার স্বপরিবারে নৌকা ভ্রমন করে এসে দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। ফাইনালে ১ম বিজয়ী নৌকা পায় একটি ঘোড়া, ২য় পুরস্কার টিভি, ৩য় পুরস্কার ছাগল দেওয়া হয়।