মঙ্গলবার ● ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » নগরীর ব্যাস্ততম সড়ক প্রশস্তকরণে ধীরগতি জন ভোগান্তি চরমে
নগরীর ব্যাস্ততম সড়ক প্রশস্তকরণে ধীরগতি জন ভোগান্তি চরমে
সিলেট প্রতিনিধি :: (২৮ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৩৮মি.) সিলেট নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা মীরের ময়দান-সুবিদ বাজার সড়ক। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু অনেকদিন ধরেই ব্যাস্ততম এই রাস্তাটিতে সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
রাস্তাটির প্রশস্তকরণ কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু প্রশস্তকরণ কাজে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। কাজ চলমান থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ভেঙ্গে একাকার হয়ে আছে পুরো সড়ক। টানা বৃষ্টির কারণে ভাঙ্গা সড়কে পানি-কাদা জমে আরো দূর্ভোগ বাড়িয়েছে। ভাঙ্গা সড়কের কারণে ছিনতাইও বেড়েছে এ সড়কে।
সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে প্রশস্তকরণ কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। বৃষ্টি থামলেই দ্রুত কাজ শেষ হবে।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে মীরের ময়দান থেকে ব্লু-বার্ড স্কুলের সামনে পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়। প্রশস্তকরণ কাজ শুরুর প্রথম দিকে এক সাথে পুরো সড়কটির পিচ তুলে মাটি ভরাট করার পর বেশ কিছু দিন কাজ বন্ধ থাকে। তখন থেকেই সড়কটি অনেকটা গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর মাঝখানে ডিভাইডার বসানো হয়।
ডিভাইডার বসানোর পর আবার প্রায় এক মাস সড়কের কাজ বন্ধ ছিলো। এরপর কিছু পাথর ভরাট করে রোলার মেরে পুণরায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে কিছুদিন কাজ চলে আবার বন্ধ হওয়ায় দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সড়কটির কাজ এখনো প্রায় অর্ধেক বাকি।
কাজ মাঝপথে আটকে থাকায় এই সড়কটি এখন নাগরিক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাঙ্গাচোরা সড়কে প্রতিদিনই গাড়ির ঝাঁকুনি খেয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। সড়ক ভাঙ্গা থাকা ও সড়ক-বাতি না থাকায় প্রায়ই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মীরের ময়দান থেকে বাংলাদেশ বেতার সিলেট আঞ্চলিক অফিসের সামন পর্যন্ত সড়কটির পুরোটাই পাথর ভরাট করা। মধ্যখান দিয়ে ডিভাইডার বসানোর কাজও শেষ। অনেক দিন থেকে পাথর ভরাট করে রাখা হলেও এর উপরে বিটমুনের আস্তরণ না দেওয়ায় বৃষ্টির পানি পড়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। এসব গর্তের উপর দিয়ে ঝাঁকুনি খেয়েই চলছে অসংখ্য গাড়ি। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
এই সড়কের দুই পাশে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল থাকায় প্রতিদিনই অসংখ্য রোগীবহনকারী গাড়ি চলাচল করে। তবে সড়ক ভাঙ্গা থাকায় রোগীদের চরম যন্ত্রনা পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, যেহেতু রাস্তাটি প্রশস্তকরণ করা হচ্ছে তাই পাশ্ববর্তী অনেক স্থাপনা সরিয়ে কাজ করতে কিছুটা সময় লাগছে। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি থামলেই দ্রুত কাজ শেষ হবে।