মঙ্গলবার ● ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » ধর্ম » বিশ্বনাথে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি
বিশ্বনাথে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২৮ ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩০মি.)
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসবকে জমিয়ে তুলতে সিলেটের বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জায় ব্যস্থ সময় পার করছেন আয়োজক ও কারিগররা। তিনটি উপজেলায় সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত সব মিলিয়ে ৮৫টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ট ও শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট পুজা মন্ডপ ও পুজা পরিষদ সজাগ দৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনটি উপজেলায় মন্ডপগুলোতে ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করে রং দিয়ে সাজানোর কাজ করতে ব্যস্থ সময় কাটাচ্ছেন আয়োজক ও মৃৎশিল্পীরা। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শারদীয়া দুর্গা পূজা শুরু হবে এবং ২৯ সেপ্টেম্বর দশমী পূজা ও বির্সজনের মধ্যে দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হবে। উপজেলাগুলোতে চারিদিকে উৎসব উৎসব ভাব বিরাজ করছে সনাতন ধর্মলম্বীদের মধ্যে। শেষ মুহর্তে কাপড়ের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
পূজার আর মাত্র কিছু দিন বাকি থাকলে সিলেটের বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর উপজেলায় র্দূগা পূজার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। শেষ মূর্হুতে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় চলছে প্রতিমা তৈরির ধুম। দিন-রাত সমান তালে করে প্রতিমা তৈরি করে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পিরা। এখন শুধু বাকি রয়েছে প্রতিমায় রং তুলির কাজ। আগামী সপ্তাহের মধ্যে রং তুলির কাজ শুরু হবে বলে প্রতিমা শিল্পীরা জানান। পূজা আসলেই প্রতিমা তৈরি শিল্পীদের কদর। পূজা চলে গেলে তাদের কদর কমে যায়। এদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। পায় না তারা কোনো সরকারি সাহায্য সহযোগীতা।
গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,বিভিন্ন মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। অনেক প্রতিমা শিল্পীরা বাড়িতে চলে গেছেন। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে প্রতিমা শিল্পীরা এসে রং তুলির কাজ করবেন। এবছর বিশ্বনাথে ২৫টি, বালাগঞ্জে ৩২ ও ওসমানীনগর উপজেলায় ২৮টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা জানান, এসব পূজা মন্ডপে প্রতিমা সরবারহ করতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তাই খাওয়া-দাওয়া শেষে আরাম করার সময়টুকুও তাদের নেই।
তারা জানান, বাঁশ ও খড় দিয়ে প্রতিমা অবকাঠামো তৈরির পর মাটি দিয়ে প্রলেপ দিচ্ছেন শিল্পীরা। বছরের এই সময়টা ব্যস্ততায় কাটলেও অন্য সময় তাদের হাতে থাকেনা কাজ। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করেও তাদের কাটাতে হয় মানববেতর জীবন। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে বাপ-দাদার এই পেশা টিকে রেখেছেন কোনো রকমে। কেহ কেহ এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।
ওসমানীনগর তেরহাতি সার্বজনীন দূর্গা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি নেপুর চন্দ্র গুন বলেন, এ বছর আমাদের পূজা মন্ডপে একযুগ পূর্তি হবে। তাই এই অনুষ্ঠানকে সফল করার লক্ষে আমরা ঐক্যবব্ধ ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্বনাথ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অজিত কুমার পাল জানান, এবছরে ব্যক্তিভাবে ৫টি মন্ডপে ও স্বার্বজনীন ২০টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব পূজা পালন করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসু্দ্দাহা বলেন, উপজেলার পূজা মন্ডপগুলোতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পূজা মন্ডপগুলোতে যারা বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করা চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।