বুধবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝালকাঠির ছাত্রীকে অপহরণ করে আমতলি নিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝালকাঠির ছাত্রীকে অপহরণ করে আমতলি নিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: (২৯ভাদ্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪৮মি.) বরগুনার আমতলী থানার পটুয়াখালি-কুয়াকাটা সড়কের কল্যাণপুর (কলঙ্ক) এলাকায় ঝালকাঠির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অপহরণ করে তাকে হত্যার অভিযোগ করছে পরিবার।
নিহত ছাত্রীর চাচা এসএম রেজাউল করিম বাদী হয়ে মঙ্গলবার ৪ জনকে অভিযুক্ত করে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি নালিশী অভিযোগ দায়ের করেছেন (এমপি১২৩/১৭)।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন, ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের হাজরাগাতি গ্রামের আ. মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. রুমান হাওলাদার ওরফে বাবু (২২), কলাপাড়া উপজেলার কালাম বয়াতির ছেলে নয়ন (২২) একই উপজেলার কালামিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম বাবু (২৩) ও সিদ্দিকের ছেলে মো. সবুজ। অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগে করার হয়েছে, জেলার নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের রানাপাশা গ্রামের শাহজাহান শিকদারের মেয়ে স্বর্না আক্তার ইতি (১৭) বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী। তারা জেলা শহরের ফকির বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ভোরে বরিশালে যাওয়ার পথে ঝালকাঠি শহরের গুরুধাম এলাকা থেকে ইতিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই দিন দুপুরে বরগুনার আমতলী থানার পটুয়াখালি-কুয়াকাটা সড়কের ক্যাণপুর (কলঙ্ক) নামক স্থানে ইতিকে আসামীরা হত্যা করে।
এদিকে কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম শাহ্নেওয়াজ ঘটনার পর জানিয়েছিলেন, বন্ধুর পরিচয় দেয়া রুমান হাওলাদার নামের ঝালকাঠির এক যুবকের মোটর সাইকেলে করে কুয়াকাটা থেকে ফেরার পথে চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে পড়ে যায় ইতি। তাৎক্ষনিক তাকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরই প্রথমে কলাপাড়া থানা পুলিশ রুমানকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থলের থানা আমতলীর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের সেখান থেকে রুমানকে নিয়ে যায়। পরদিন ৭সেপ্টেম্বর বিকেলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়