বৃহস্পতিবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » নবীগঞ্জে শ্মশানের জায়গা দখল করে জোর পূর্বক ঘর নির্মাণ
নবীগঞ্জে শ্মশানের জায়গা দখল করে জোর পূর্বক ঘর নির্মাণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: (৬ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১০মি.) নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের সংখ্যালঘু এক হিন্দু পরিবারের শ্মশানের জায়গা দখল করে টিন সেড ঘর নির্মাণও লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ জোর পূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জায়গার মালিক সমরেনদ্র বৈশ্যবাদী হয়ে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে, ধর্মিয় অনুভূতিতে আঘাত, তুলসি গাছ কাটা, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটা ও গাছ চুরি এবং শ্মশানের জায়গার মাটি কোদাল দিয়ে কেটে শ্মশানের পবিত্রতা নষ্টের অভিযোগে বাউসা গ্রামের বাবরু মিয়ার মেয়ে রিনা বেগম ও বাবরু মিয়ার পুত্র এওর মিয়া, আকবর মিয়া, আঙ্গুর মিয়া সহ অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনকে আসামী করে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীগঞ্জ থানাকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন আদালতে পাঠানোর আদেশ প্রদাণ করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন। দাখিলকৃত তদন্ত বাদীপক্ষের প্রকৃত ঘটনা না আসায় প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী সমরেন্দ্র বৈশ্যগত পুনরায় ইংরেজী তারিখে আদালতে নারাজী আবেদন দাখিল করেন।
এতে আদালত নারাজী আবেদন আমলে নিয়ে পূর্ণ তদন্তের জন্য হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাহুবল সার্কেল মো. রাসেলুর রহমানকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন আদালতে পাঠানোর আদেশ প্রদাণ করেন।
এতে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার বাহুবল সার্কেল মো. রাসেলুর রহমান মামলার বিষয়টি সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে উভয় পক্ষকে তাহার কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ প্রদাণ করেন। তদন্তের তারিখ উপেক্ষা গত বুধবার রিনা বেগম তারসঙ্গিয় লোকজন নিয়ে শ্মাশান ভূমিতে তড়িগরি করে টিন সেডের ঘর নির্মাণ করায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রাদায়ের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এনিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝর উঠেছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে রিনা বেগমের খুটির জোর কোথায় ?