শিরোনাম:
●   রাঙামাটিতে দায়রা জজ আদালতের আওয়ামীলীগ পন্থি পিপি’র নিয়োগ বাতিল চায় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ ●   পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলোতে পানির সংকট নিরসন ও সুরক্ষা বিষয়ে সরকার কাজ করছে : সুপ্রদীপ চাকমা ●   ঘোড়াঘাটে নদীর পানিতে ডুবে ইন্দোনেশিয়ান এক নাগরিকের মৃত্যু ●   সাবেক মন্ত্রী আমুকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ ●   এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের চেয়ারম্যানকে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা ●   মিরসরাইয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার ●   চুয়েটের আয়কর ও ই-রিটার্ন বিষয়ক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত ●   গণহত্যার আসামীদের ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই ●   নিখোঁজের ৪ ঘন্টা পর পুকুরের পানিতে মিললো শিশুর মরদেহ ●   হাতের নাগালেই মিলছে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ●   নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার-২ ●   সংবিধান বাতিল বা পরিবর্তন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় ●   রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধনে পাহাড় থেকে সকল বৈষম্য নিরসন করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্য নিরসন কমিশন গঠনের দাবি ●   রাউজানে প্রবাসী যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   নবীগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু ●   আগামী কাল সোমবার সকালে রাঙামাটি বিসিক এর সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন ●   কাউখালীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্টাতা বার্ষিকী পালন ●   পানছড়িতে ৫৩ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত ●   ঘোড়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সম্মেলন ●   বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক ●   তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ ●   সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’র আত্মপ্রকাশ ●   আত্রাইয়ে জাতীয় যুব দিবস পালন ●   অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সকল উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে ●   রাউজানে আগুনে ৫ দোকান ভস্মিভূত ●   ঘোড়াঘাটে দৈনিক সকালের বাণীর ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   রাঙামাটিতে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   ছেলেকে ফিরে পেতে এক মায়ের আকুতি ●   কাউখালীতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য অপহরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় যুব দিবস পালিত
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পাহাড়ে পর্যটন শিল্প : একটি পর্যালোচনা
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পাহাড়ে পর্যটন শিল্প : একটি পর্যালোচনা
মঙ্গলবার ● ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাহাড়ে পর্যটন শিল্প : একটি পর্যালোচনা

---ফেবিয়ান বি. গোমেজ :: ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে দেশের মানুষজন সৌখিন হতে শুরু করেছে। ফলশ্রুতিতে ইদানীং পর্যটনের প্রতি মানুষের আগ্রহ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন উৎসবের ছুটি ছাড়াও এখন প্রতি সপ্তাহান্তে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে বাস ও ট্রেন স্টেশনে এমনকি বিমান বন্দরে। শহরের কোলাহল ছেড়ে যে যার মতো করে ছুটে যাচ্ছে তাদের পছন্দের জায়গাগুলোতে।

সোশ্যাল মিডিয়াসমূহে বিশেষভাবে ফেসবুকে যাদের অবাধ যাতায়াত, তারা অবশ্যই জানেন যে, এখানে পর্যটনকে সারাদেশে প্রমোট করার জন্য অসংখ্য গ্রুপ তৈরি হয়েছে এবং এই খাতে তারা যথেষ্ট ভূমিকাও রাখছে। আর তাই প্রায় প্রতিদিনই এসব গ্রুপগুলো থেকে ভ্রমণ বিষয়ক ইভেন্ট পোস্ট করা হচ্ছে, মানুষজন সাড়া দিচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে এর আশাব্যঞ্জক প্রভাব পড়ছে।

দেশের মানুষের পর্যটনের পছন্দের তালিকার শীর্ষে আছে তিন পার্বত্য জেলা- বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, এই জেলাগুলোতে বসবাসরত আদিবাসিদের সংস্কৃতির সাথে বিদ্যমান ধারার পর্যটন অনেকটাই সাংঘর্ষিক। এছাড়া পর্যবেক্ষণে আরো দেখা গেছে যে, এই ধারার পর্যটনকে আদিবাসিদের অনেকেই বাঁকা চোখে দেখে। তারা মনে করে এটা তাদের জন্য অবমাননাকর। অনেকে এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেন। এর কারণ স্বরূপ আমরা খাগড়াছড়ির সাজেক এবং বান্দরবানের নীলগিরির কথা উল্লেখ করতে পারি। সবাই জানেন, শত শত নীরিহ আদিবাসি পরিবারকে এই দুটো জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে কিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে তথাকথিত পর্যটন কমপ্লেক্স। বাস্তুচ্যুত বেশিরভাগেরই কপালে জোটেনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা পূনর্বাসন। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া এখনো থেমে নেই। যার ফলে আদিবাসি সমাজে এর জের হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক ক্ষোভের জায়গা তৈরি হয়েছে। সমতল থেকে আসা পর্যটকেরা যখন এসব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়, তখন আদিবাসিদের নীরব দর্শক হয়ে বসে থেকে দীর্ঘশাস ফেলা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা কারণ এই তথাকথিত পর্যটনের সাথে এদের কোন সংযোগ নেই। সবকিছু তাদেরকে বাদ দিয়েই করা হয়েছে।

এখানে পর্যটনের জন্য যারা আসেন তাদের বেশিরভাগ মানুষই ইমারতে গড়া অবকাঠামোগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না কারণ তারা চায় ইট-রড-সিমেন্টে গড়ে ওঠা শহরের ব্যস্ততা থেকে ছুটি নিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কয়েকটা দিন কাটিয়ে তাদের মনের অবসাদ দুর করতে। কিন্তু প্রকৃতির ছোঁয়া, নির্জনতা তাদের কাছে ধরা দেয় না। পাহাড়ে তারা নিশ্চয়ই ‘‘আমিরাবাদ হোটেল” টাইপের কোন হোটেলে থাকতে চাইবে না বা খেতে চাইবে না। তারা দেখতে চায় আদিবাসি বর্ণমালাখচিত দুর্বোধ্য সব নামের হোটেল, কটেজ বা মোটেল। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি- অধিকাংশ মানুষই চায় আদিবাসি খাবারের স্বাদ নিতে। এই তিন জেলার প্রকৃতিকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে যেভাবে পর্যটন কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হচ্ছে তাতে করে অদুর ভবিষ্যতে মানুষজন এসব এলাকায় না গিয়ে চলে যাবে নেপাল, ভূটান, ভারতে বা অন্য কোথাও।

আসলে পর্যটনের সাথে আদিবাসিদের কখনোই সম্পৃক্ত করা হয়নি। তাদেরকে উচ্ছেদ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কমপ্লেক্স গড়ে তুলে আদিবাসিদের এর অংশীদার করা হয়নি। সচেতনভাবেই উপেক্ষা করা হয়েছে সবকিছু থেকে। আর এসবের মালিকানা চলে গেছে বহিরাগত সেটেলারদের হাতে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন আদিবাসি ছেলেকে আমি দেখেছি উল্লেখিত তিন জেলার উপজেলা সদরে অপেক্ষায় বসে থাকে- পর্যটকের আশায়। ব্যাগ টানা পর্যন্তই যাদের অংশীদারিত্ব। কিন্তু আমরা চাই, পাহাড়ের পর্যটনের এ টু জেড নিয়ন্ত্রণ করবে সেখানকার আদিবাসিরা। তারাই প্রধান নিয়ামক, নিয়ন্ত্রক ও মালিক। আমার বদ্ধমূল ধারণা, এটা সম্ভব হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটন একটি শিল্পরূপ পরিগ্রহ করতে পারে।

আদিবাসিদের তাদের বাপ দাদার ভূমি থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ না করে সরকার কিছূ লজিস্টিক সাপোর্টের মাধ্যমে তাদের একেকজনকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারে। সাপোর্টের মধ্যে থাকবে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ। পর্যটকদের আকর্ষণের যাবতীয় কলাকৌশল তাদেরকে শিখিয়ে পড়িয়ে নিতে হবে। তাদের থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে টোটাল ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য যে, পর্যটকদের নিরাপত্তা ইস্যুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দায়িত্ব স্থানীয়ভাবে সমাজের যুব সম্প্রদায়কে নিশ্চিত করতে হবে। পর্যটকদের ঘোরাফেরার সীমানা পরিধি সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য সামাজিক আইগুলোকে প্রয়োজনে ঘষামাজা করে নিতে হবে। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেক পর্যটক বেড়াতে গিয়ে সেখানকার এন্টিকস, প্রত্নতাত্তিক সম্পদ, ভেষজগুণ সম্পন্ন বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালির চারা, বন্যপ্রাণী ইত্যাদি যে যার মতো করে নিয়ে আসে। এগুলোকে সামাজিকভাবে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রসাশনের সাহায্য নিতে হবে।

এরপর আসে ব্যাংক লোনের প্রসঙ্গ। পর্যটনকে প্রমোট করার জন্য সরকার আদিবাসি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সহজ শর্তে অথবা বিনা সূদে লোন প্রদান করবেন কারণ তাদের বেশিরভাগই প্রান্তিক শ্রেণীর। লোনের টাকায় তারা গড়ে তুলবেন দৃষ্টিনন্দন সব কটেজ যাতে ফুটে উঠবে আদিবাসি সংস্কৃতির অপরূপ ব্যঞ্জনা। সবই হবে প্রাকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এতে সরকারের সদিচ্ছা খুবই জরুরী। সরকারকে তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে আলাদা একটি পর্যটন নীতিমালা বা আইন তৈরি করে দিতে হবে।

পাহাড়ে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা আছে তবে প্রস্তাবিত ফর্মুলায় এটাকে কাজে পরিণত করা না গেলে এর কোন ভবিষ্যত আমি দেখি না।
লেখক : ফেবিয়ান বি. গোমেজ
[email protected]





চট্টগ্রাম বিভাগ এর আরও খবর

রাঙামাটিতে দায়রা জজ আদালতের আওয়ামীলীগ পন্থি পিপি’র নিয়োগ বাতিল চায় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ রাঙামাটিতে দায়রা জজ আদালতের আওয়ামীলীগ পন্থি পিপি’র নিয়োগ বাতিল চায় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ
মিরসরাইয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার মিরসরাইয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
চুয়েটের আয়কর ও ই-রিটার্ন বিষয়ক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত চুয়েটের আয়কর ও ই-রিটার্ন বিষয়ক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত
নিখোঁজের ৪ ঘন্টা পর পুকুরের পানিতে মিললো শিশুর মরদেহ নিখোঁজের ৪ ঘন্টা পর পুকুরের পানিতে মিললো শিশুর মরদেহ
রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধনে পাহাড় থেকে সকল  বৈষম্য নিরসন করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্য নিরসন কমিশন গঠনের দাবি রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধনে পাহাড় থেকে সকল বৈষম্য নিরসন করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্য নিরসন কমিশন গঠনের দাবি
রাউজানে প্রবাসী যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার রাউজানে প্রবাসী যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
আগামী কাল সোমবার সকালে রাঙামাটি বিসিক এর সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন আগামী কাল সোমবার সকালে রাঙামাটি বিসিক এর সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন
কাউখালীতে যুবদলের ৪৬ তম  প্রতিষ্টাতা বার্ষিকী পালন কাউখালীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্টাতা বার্ষিকী পালন
পানছড়িতে ৫৩ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত পানছড়িতে ৫৩ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)