বুধবার ● ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » সিলেটে দূষিত পানি বিক্রি হচ্ছে বোতল জাত করে
সিলেটে দূষিত পানি বিক্রি হচ্ছে বোতল জাত করে
সিলেট প্রতিনিধি :: (১২ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১৩মি.) সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের রাজাম্যানশন বিপণীবিতান। পঞ্চাশ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ লোক ঠেলায় করে নিয়ে আসা পানি জারে ভরছিলেন। ওই জারের পানি চা বিক্রেতা বিক্রি করছেন প্রতি গ্লাস ২টাকা করে। চা বিক্রেতা জানেন না পানির উৎস। কিংবা বিশুদ্ধতা।
ঠেলায় টিনের ড্রামে পানি নিয়ে আসা রাজিক মিয়া জানালেন পানি বিশুদ্ধ । ডিপ টিউবওয়েলের পানি । তিনি প্রতিদিন জিন্দাবাজার বন্দরবাজার, লামাবাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পানি দিয়ে যান। প্রতি পানির ড্রাম ২৫ টাকা করে।
জানা গেছে, প্রতিদিন এভাবেই সারা শহরে বিভিন্ন দোকানে দোকানে পানি সরবারহ করা হয়। নামে বেনাম বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা এ কাজটি করে থাকে। আর এই টিন ও বোতল জাত করা পানি ক্রেতাদের নিকট ২ টাকা করে বিক্রি করা হয়। পানি জারে ভরার কাজটি ময়লাযুক্ত ড্রেনের পাশে করা হয়। এ গুলো আবার সবার কাছে ফিল্টারের পানি হিসেবে পরিচিত।
তাছাড়া শহরের প্রত্যেকটা হোটেল, ফাস্ট ফুডের দোকান, স্কুল, কলেজে এই দূষিত পানি সরবারহ করা হয়। এমন কি বাসাবাড়িতেও এই পানি সরবারহ করা হয়। সবচেয়ে বড় কথা এই পানির মধ্যে খুব বাজে গন্ধ করে। মুখে দেওয়া যায় না। একবার মুখে দিলে আরেকবার মুখে দিতে ইচ্ছে করে না। এ গুলো স্বাস্থ্য সম্মত এবং সরকারের অনুমোদিত কিনা ক্রেতারা আদৌ ভাল করে জানে না।
যদিও প্রত্যেক জারের মধ্যে সীল ও স্টীকার লাগানো থাকে। আর এই প্লাস্টিক জার ভরা পানি খেয়ে ছাএ-ছাএী থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে । বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।
এভাবে প্রতিনিয়ত সবাই ময়লা যুক্ত পানি পান করছে। অতিরিক্ত অর্থ লাভের আশায় এই অমানবিক কাজগুলো তারা করে যাচ্ছে। এগুলো দেখবার কেউ নেই। এখনই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এ কাজগুলো যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে। আইনের আওতায় এনে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হউক। তাহলে কিছুটা হলেও এ ধরনের অনৈতিক কাজগুলো কমবে।
পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈর করা দরকার এ ধরনের খোলা ও সীলমারা কোম্পানির পানি পান না করার জন্য। পানির অপর নাম জীবন। সুতরাং বিশুদ্ধ পানি সরবারহে সব কোম্পানি মালিকদের বিবেক জাগ্রত হবে এই প্রত্যাশা সমাজের প্রতিটি মানুষের।