বৃহস্পতিবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » মির্জাগঞ্জে ১৭ লক্ষ টাকার ভবন ৭০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি
মির্জাগঞ্জে ১৭ লক্ষ টাকার ভবন ৭০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (১৩ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ১.৩৭মি.) পাঠ দানের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না করে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পিপড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পায়রা নদীর ভাঙ্গন অজুহাত দেখিয়ে এ বিদ্যালয়টি গোপনে নিলামে বিক্রি এবং বিদ্যালয় থেকে মাত্র ১৫ ফুট দুরত্বে বেড়িঁবাধেঁর পাশে মাটি ভরাট করে বিদ্যালয় নির্মান করা হবে বলে জানা যায়। এর আগেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পূর্ব রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মাত্র ৭০ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করেন একই অজুহাতে।
জানা যায়, উপজেলার পিপড়খালী সরকারি বিদ্যালয় ভবনটি ১৯৯৩-১৯৯৪ অর্থ বছরে ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পটুয়াখালী ফ্যাসিলিটিশ ডিপার্টমেন্ট ভবনটি নির্মান করেন। বিগত ১৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিকল্প পাঠদানের ব্যবস্থা না করে ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের গোপন সমযোতার মাধ্যমে ১৭ লক্ষ টাকার বিদ্যালয় ভবনটি ৭০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রয় করেন। কাজটি পান উপজেলার পিপড়াখালী এলাকার মেসার্স টাইগার এন্টার প্রাইজ। ২৩ সেপ্টম্বের শনিবার পূজায় বিদ্যালয় ছুটি হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে নিলাম দাতা টাইগার এন্টার প্রাইজ সত্ত্বাধিকারী স্থানীয় মেম্বর মো. মনির হোসেন ভবনটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করলে এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীসহ অবিভাবক মহলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কয়েকজন অভিভাবক জানান,সামনে ছাত্র/ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা অথচ পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় না রেখে প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় বিদ্যালয়ের ভবনটির ভাঙ্গার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ যে অজুহাতে বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে, সেখান থেকে মাত্র ১০-১৫ ফুট দুরত্বে বাধেঁর পাশে বিদ্যালয় নির্মান করা হবে। তাহলে লোক দেখানো বিদ্যালয় ভবনটি নিলামে না তুললেও হতো বলে স্থানীয়রা বলেন। তারা আরো বলেন,আগামী অক্টোবর মাসে বিদ্যালয়ের ক্লাশ শুরু হবে,এ কদিনের মধ্যে নতুন ঘর নির্মান করা সম্ভব হবে না। বিদ্যালয়ের সামনে এখনও প্রায় ৫০ ফুট জায়গা রয়েছে। এবারে আর নদী ভাঙ্গতে নাও পারে।
এব্যাপারে মেসার্স টাইগার এন্টার প্রাইজের ঠিকাদার মো. মনির হোসেন বলেন, আমি নিলামের মাধ্যমে ভবনটি কিনেছি এবং নিলামের কাগজ হাতে পেয়ে ভাঙ্গার কাজ শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ.আর.এম মিজানুর রহমান বলেন,নদী ভাঙ্গনের কারনে রেজুলেশন করে বিদ্যালয়টি নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। আমরা সরকারি চাকরি করি তাই সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য বিদ্যালয়টি নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। দোকলাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভাঙ্গা পুরাতন মালামাল প্রায় পাচঁ বছর যাবৎ পড়ে আছে। এটা কেন নিলামে তুলছেন না জানতে চাইলে,তিনি বলেন,একটার ঝামেলা সইতে পারছিনা সেখানে অন্য একটির নিলাম প্রশ্ন উঠে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন,পায়রার ভাঙ্গনের কারনে বিদ্যালয়টি নিলামে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পাশে একটি টিনশেড ঘর নির্মান করবেন নিজ খরচে। এর পরে শুকনো মৌসুমে বিদ্যালয় থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরকারি ভবন নির্মান করা হবে।