শনিবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হল
রাঙামাটিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হল
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১৫ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০মি.) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙামাটিতে শেষ হলো সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।
আজ শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাক-ঢোল, বাদ্য-বাজনা, নাচ-গান, মেলা, সিদুর খেলা, ট্রাক ও নৌকাযোগে প্রতিমা নিয়ে র্যালী আর আরতির মধ্য দিয়ে ভক্তকুলকে কাঁদিয়ে মর্ত্য থেকে প্রস্থান করলেন জগতের মহাশক্তি মহামায়া ও দুর্গতিনাশিনী দেবীদূর্গা। অশ্রু সিক্ত নয়নে মাকে বিদায় জানিয়ে তার রোগ-শোকমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ জীবন পেতে দেবীর কাছ থেকে আশির্বাদ নেন ভক্তবৃন্দরা।
দশভুজা দেবী দূর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার থেকে পঞ্চমী শুরু হয়ে পাঁচদিনব্যাপী দূর্গাপূজা চলে। ষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পর্যায়ক্রমে বুধবার মহাসপ্তমী, বৃহস্পতিবার মহাঅষ্টমী, শুক্রবার মহানবমী এবং শনিবার সকালে ভক্তবৃন্দদের দেবীদুর্গার চরনে পুস্প ও কপালে অঞ্জলী ফোটা প্রদান শেষে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব।
সনাতন ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি সার্বজনীন এ উৎসবকে বরণ করে নেয় পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অন্যান্য জাতি গোষ্টি। প্রতিটি অনুষ্ঠানে চোখে পড়ে সনাতন ধর্মালম্বী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নর-নারীদের। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নর-নারীরা ভক্তিতে মায়ের চরনে মোমবাতি আগরবাতি প্রজ্জ্বলন ও পৌরহিতদের কাছ থেকে শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করে মায়ের চরনের আর্শিরবাদ স্বরুপ ফুল ও বিল্লবত্র (বেল পাতা) ।
শহরের প্রতিটি পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ও পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা। সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পুজা সমাপ্ত হওয়ায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ধন্যবাদ জানান জেলা প্রশাসন, আইন শৃংখলাবাহিনী, মন্দির পরিচালনা কমিটি’সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে।
সনাতন বিশ্বাস ও বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দূর্গা এবার নৌকায় মর্ত্যলোকে পৃথিবী আগমন এবং স্বর্গালোকে বিদায় নেবেন ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে।
রাঙামাটি পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষক বাদল চন্দ্র দে ও সদস্য সচিব স্বপন কান্তি মহাজন জানান, এবার রাঙামাটির দশটি উপজেলার মোট ৪০টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সুষ্ঠ সুশৃংখলভাবে পুজা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সহযোগিতা করায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আনসার বাহিনী, সংশ্লিষ্ঠ সকলে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কমিটি। আগামিতেও সকল জাতিগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ ভাবে উৎসব পালনে এ ধরনের সহযোগিতা প্রদানের জন্য তারা সংশ্লিষ্ঠদের অনুরোধ জানান।