মঙ্গলবার ● ৩ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পটুয়াখালীতে অপর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার
পটুয়াখালীতে অপর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (১৮ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৫০মি.) বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার বা আশ্রয় কেন্দ্র। ঝড়-ঝাঞ্জা, নিম্ন চাপ আর ঘূর্ণীঝড় প্রবণ জেলার ৭টি উপজেলা ও ১টি থানায় প্রায় ১৬ লক্ষাধিক মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রয়েছে মাত্র ৩শ’৩১টি সাইক্লোণ শেল্টার। যার ধারন ক্ষমতা ১লাখ ৩৭ হাজার মানুষের। ফলে প্রায় সাড়ে ১৪লক্ষ মানুষ দূর্যোগের ঝুঁকির মুখে বসবাস করছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুকির মুখে থাকা উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে প্রতি বছরই কম বেশি আঘাত হানছে ঘুর্নিঝড়, নিম্ন চাপ, জলোচ্ছাস। এসব দুর্যোগকালীন সময়ে জেলার ১৬ লাখ ২২ হাজার মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রয়েছে রয়েছে ৩৩১টি সাইক্লোন শেল্টার আর ৫৬টি মাটির টিলা। কিন্তু বিদ্যমান এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্যোগের সময় আশ্রয় নিতে পারে মাত্র ১লাখ ৩৭হাজার মানুষ। প্রয়োজনের তুলনায় সাইক্লোন শেল্টার অপ্রতুল হওয়ায় আশ্রয় না পেয়ে দুর্যোগের সময় ঝুকির মুখে থেকে যাচ্ছে জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ। অন্যদিকে মাটির টিলা বা কেল্লায় কোন শেড না থাকায় এখানে আশ্রয় নিতে পারছেনা মানুষ। ষাটের দশকে নির্মিত এসব টিলার দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না থাকায় এগুলোও রয়েছে অস্তিত্ব সংকটে।রাঙ্গাবালীর কাজীর হাওলার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, সাইক্লোন সিডরের পর দাতা সংস্থার সহায়তায় বেশ কিছু সাইক্লোন সেল্টার নির্মান হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা নগন্য। কাছয়াবুনিয়া গ্রামের গৃহবধু তানিয়া অক্তার বলেন, জনসাধারনের সুবিধামত স্থানে এসব স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারগুলো নির্মিত না হওয়ায় দুর্যোগের সময় সেখানে যেতে পারেনা অনেকেই। একই গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, মাঠির টিলা গুলোতে নেই বৃস্টিতে রক্ষার কোন ব্যবস্থা। ফলে মানুষ ওখানে যেত চায়না।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মাছুমুর রহমান জানান, বন্যা ও জলোচ্ছাসের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে জেলায় পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।