বৃহস্পতিবার ● ৫ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বরগুনাসহ ২৭ জেলায় চলছে ইলিশ শিকার নিষেধাজ্ঞা অভিযান
বরগুনাসহ ২৭ জেলায় চলছে ইলিশ শিকার নিষেধাজ্ঞা অভিযান
বরগুনা প্রতিনিধি :: (২০ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সকাল ১১.৪৮মি.) গত ১অক্টোবর থেকে আগামী ২২ দিনের জন্য দেশের নদ-নদীতে ইলিশ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। আজ ৫ম দিনের মত চলছে ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা অভিযান।
আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে জেলেদের ফের শুরু হবে ইলিশ ধরার কাজ। মা ইলিশ রক্ষা ও স্বাচ্ছন্দে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হামিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপণে এ আদেশ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপণে বলা হয়েছে, এই সময়ে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী এই ২৭ জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
মৎস্য মন্ত্রণালয় দেশের নদনদীগুলোর সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত (২২ দিন) ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
এবার ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই এবিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলেন, আশ্বিনের পূর্ণিমার ওপর নির্ভর করে এবার নিষেধাজ্ঞার তারিখ এগিয়ে এসেছে। তিনি আরো জানান, তারিখটাই শুধু বদল হয়েছে।
এছাড়া অন্য সব শর্ত ও করণীয় আগের বছরগুলোর মতোই বহাল রয়েছে।
এই ২২দিনে যা করণীয়: ১. এই ২২ দিনে নদী বা সাগরে কোথাও ইলিশ ধরা যাবে না। ২. এই সময় ইলিশ মাছ বিতরণ করা যাবে না। ৩. পাইকারি বা খুচরা প্রক্রিয়ায় ইলিশ বিক্রি করা যাবে না। ৪. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ইলিশ পরিবহন করা যাবে না। ৫. এই সময় ইলিশ মজুদ করা যাবে না। ৬. কোনও পণ্যের সঙ্গে ইলিশ বিনিময়ও করা যাবে না। এই ২২ দিনে ক্রেতাদের করণীয়-এই ২২দিনে হাঁট, বাজার, আড়ৎ , চেইনশপ বা কোথাও থেকে কেউ ইলিশ কিনতে পারবেন না।
এ সময় ইলিশ বেচলে বা কিনলে, তা আইনের চোখে অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ সময় ক্রেতারা ইলিশ সংরক্ষণও করতে পারবেন না। এমনকি খাবার হোটেলগুলোতেও ইলিশের তরকারি বা মাছ বিক্রি করা যাবে না। বিষয়গুলো তদারকির দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
যদি কোনও ক্রেতা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২২দিনের যে কোনও সময় ইলিশ ক্রয় বা মজুদ করেন বা মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর করণীয় উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে সরকারের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করবেন।
এ সময় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। আইন বা সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে জেল জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবেন।