রবিবার ● ২২ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » কক্সবাজারে এয়ার বোমা’টি অবশেষে ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী
কক্সবাজারে এয়ার বোমা’টি অবশেষে ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী
কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজার বিমানবন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই ‘এয়ার বোমা’টি অবশেষে ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল ২২ নভেম্বর রোববার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায়। ৫০০ পাউন্ড ওজনের ওই এয়ার বোমাটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কক্সবাজার বিমান বন্দরে ফেলা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। গত ১৫ নভেম্বর বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলাকালে বিমানবন্দরের পশ্চিম পাশের সীমানা দেয়াল ঘেঁষা ফদনার ডেইলের কাছাকাছি এলাকায় অবিস্ফোরিত বোমাটি পাওয়া যায়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেনাবাহিনীর কক্সবাজারস্থ রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মহিউদ্দিন ও লেফট্যানেন্ট কর্ণেল কিবরিয়ার নেতৃত্বে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। এই বোমাটি বিস্ফোরণে সহায়তার জন্য ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল থেকে বোমা বিশেষজ্ঞ দল কক্সবাজার এসেছিলেন। বোমাটির বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে পুরো কক্সবাজার শহর। ওই বিস্ফোরণে প্রচন্ড শব্দে কক্সবাজার শহরের সব স্থানে থাকা লোকজন যেখানেই ছিলেন সেখানেই আতংকিত হয়েছেন।
লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন জানান, ১৯৫৪ সালে তৈরি প্রায় সাড়ে ৪ ফুট দীর্ঘ ও ১৬ ইঞ্চি বেসের ‘এয়ার বোমা’টি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুুদ্ধকালীন সময়ে কক্সবাজার বিমান বন্দরে ফেলা হয়েছিল। বোমাটির ওজন ৫০০ পাউন্ড।
লে. কর্ণেল মোহাম্মদ কিবরিয়া জানান, অবিস্ফোরিত বোমাটির সামনের মুখটি কেটে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে বিশাল বালির ঢিবি তৈরি করে তা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বালির ভেতরে থাকায় বিস্ফোরণের শব্দ অনেকাংশেই কম হয়েছে।
তিনি জানান, এই ধরণের বোমা কোন বিমান বন্দরের রানওয়েতে ফেলা হলে রানওয়েটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পুরোপুরি পূণনির্মাণ না করে ওই রানওয়ে আর চালু করার সুযোগ থাকে না। যদি কোন স্থাপনায় এই বোমাটি ফেলা হয় তাহলে ওই স্থাপনাটিও পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
তবে এটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করে নিরাপদে ধ্বংস করায় ধ্বংসলীলা থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে বলেও মন্তব্য করেন সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা।
এদিকে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানোর শব্দে পুরো কক্সবাজার শহর কেঁপে উঠার পর দলে দলে মানুষ ঘটনাস্থলের দিকে ছুটতে থাকেন। কেউ কেউ কোথায় বিস্ফোরণ ঘটেছে তা নিয়েও বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আস্তর্জাতিক মানে রূপান্তরে নির্মাণ কাজ চলছে। এক্সেভেটর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি খননের সময় শ্রমিকরা বোমা সদৃশ একটি বস্তু দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে বোমাটি শনাক্ত করে।
আপলোড : ২২ নভেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১০.০৪ মিঃ