সোমবার ● ৯ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » ফটো গ্যালারী » সমস্যা জর্জরিত ফাজিলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
সমস্যা জর্জরিত ফাজিলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
সিলেট প্রতিনিধি :: (২৪ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৪৭ মি.) ১৮৮০ সালে স্থাপিত গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ২নং ফাজিলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।
প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠ থেকে পড়ালেখা করে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তার মধ্যে প্রকৌশলী মরহুম একে মোস্তফা উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ বিমানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত এজেড আব্দুল্লাহ চৌধুরী, বিচারপতি মাঈনুল ইসলাম চৌধুরী, বীর মুুক্তিযোদ্ধা ফলিক মিয়া প্রমূখ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৫টি শ্রেণিকক্ষের মধ্যে ৪টি টিনসেটের তৈরি। অনেক দিন আগে তৈরি হওয়ায় এই কক্ষের টিনগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া বিদ্যালয়টি অতি প্রাচীন হওয়ায় বিদ্যালয়ের টিনসেটের তৈরি ভবনটির বর্তমান অবস্থা ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। বিদ্যালয়ের শেণিকক্ষের বিভিন্ন স্থানে ফাটল, ভাঙা দরজা-জানালা, ডেস্ক-ব্যাঞ্চের সংকট, ব্যবহার অনুপযোগী টয়লেট ইত্যাদি সমস্যা সমূহ বিদ্যমান।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিখা রাণী দে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, অনেক পরিশ্রম করে বাচ্চাদের লেখাপড়া করাচ্ছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি এলেই শ্রেণিকক্ষ গুলো পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে উঠে। তাছাড়া প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য পর্যাপ্ত ডেস্ক-ব্যাঞ্চ না থাকার ফলে ৪টি কক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান দিতে সমস্যার সম্মূখীন হতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সহিদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, প্রাচীন এই বিদ্যালয়টি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। দেখা যায় বর্তমানে বিদ্যালয়ের কক্ষ সংখ্যা ৫টি। তার মধ্যে ১টি কক্ষ পাঁকা যেখানে অফিসের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং অপর ৪টি কক্ষ আধাপাঁকা অর্থাৎ টিনসেট দ্বারা তৈরি যেগুলোতে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান করা হয়।
অতি প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠের আধাপাঁকা রুমের টিনগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বৃষ্টি মৌসুম এলে কক্ষের ভিতরে বৃষ্টি পড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হয়। অনেক বার এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সহযোগীতা নিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও শ্রেণিকক্ষের টিনশেট পরিবর্তন বা নতুন ভবন নির্মাণের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর চাহিদামত ৪টি শ্রেণিকক্ষ শিক্ষকদের বসার রুমসহ নতুন ভবন নির্মাণ খুবই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পারভেজ মোশারফ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আমাকে অবগত করেছেন এবং আমি ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।