বুধবার ● ১১ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » গ্রীষ্মকাল থেকে শুরু করে হেমন্তকাল পর্যন্ত অপরাজিতা ফুল ফুটে
গ্রীষ্মকাল থেকে শুরু করে হেমন্তকাল পর্যন্ত অপরাজিতা ফুল ফুটে
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :: (২৬ আশ্বিন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৫৪মি.) অপরাজিতা লতাজাতীয় ফুল গাছ। এর পরিবার উদ্ভিদের তাত্বিক নাম Fabaceae। আদিনিবাস মালাক্কা উপসাগরিয় অঞ্চলের টিনাট দ্বীপ। শিক্ষক তুষার দাশ ১১ অক্টোবর বুধবার বলেন,উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম টিনাট দ্বীপ থেকে এ ফুল গাছটি সংগ্রহ করেন। এ ফুলের সাথে আমাদের দেশের মানুষের পরিচয় খুবই নিবিড়।বাগানের সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি রয়েছে এর নানাবিধ ভেষজ গুণ। তাই এ ফুলের কদরও একটু বেশী। অপরাজিতা গাছের মূল ছাল পাতা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গাছের পাতা বহু ফলক বা বহু পক্ষাকার হয়ে থাকে। রঙ গাঢ় সবুজ, আকারে ছোট। পত্রভরা লতার ফাঁকে ফুটন্ত ফুল খুবই নয়নাভিরাম। তবে অপরাজিতার ফুল গুচ্ছ আকারে থোকায় থোকায় ফোটেনা। এরা যেনো একা একাই থাকতেই ভালোবাসে।তাইতো একত্রে একের বেশী ফুল ফোটতে দেখা যায়না। সবুজ পাতার মাঝে নীল অপরাজিতা এক কথায় মনোরম। তবে অপরাজিতার সাদা রঙের ফুলের প্রজাতিও রয়েছে। ফুলের পাপড়ি নমনীয়কোমল এবং ফুল গন্ধহীন। এ ফুল ফোটার মৌসুম গ্রীষ্ম থেকে শুরু হয়ে হেমন্তকাল জুড়ে।ফুল শেষে গাছে ফল ধরে। ফলের আকার দেখতে সবজি সিমের মতো, তবে আকারে একটু ছোট হয়। ফলের রঙ প্রথমে সবুজ ও পরিপক্ক ফলের রঙ খয়েরি হয়, ফলের ভেতর জন্ম নেয় বীজ।বীজ মূল ও লতা কাটিং এর মাধ্যমে এর বংশবিস্তার করা যায়।সরাসরি মাটি ও টবে এ ফুলগাছ উৎপাদন সম্ভব। তবে অপরাজিতা ফুল গাছের বাড়বাড়তির জন্য বাউনির ব্যবস্থা রাখতে হবে। উঁচু ভূমি ও পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত রৌদ্রউজ্জল পরিবেশ অপরাজিতা উৎপাদনে উত্তম। পারিবারিক বাগান,বাসা-বাড়ীর বাগান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগানে অপরাজিতা ফুল গাছ উৎপাদন চোখে পড়ে।