সোমবার ● ২৩ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ১ম তাইওয়ান টেক্সটাইল মেলা দক্ষিন এশিয়া ২০১৫
১ম তাইওয়ান টেক্সটাইল মেলা দক্ষিন এশিয়া ২০১৫
ঢাকা প্রতিনিধি :: সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের পোষাক তৈরিকারক ও রপ্তানি কারকদের জন্য আন্তর্জাতিক সুযোগ তৈরি করে দেয়া এর মূল উদ্দেশ্য
“প্রথম তাইওয়ান টেক্সটাইল মেলা দক্ষিন এশিয়া ২০১৫” এর উদ্বোধন করেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)এর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাষিশ বোস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন তাইওয়ানের এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের (টিএআইটিআরএ) ঢাকা অফিসের পরিচালক ড্যানি ইয়ং।
প্রধান অতিথি শুভাষিশ বোস বলেন , তাইওয়ান বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন।বিভিন্ন দেশে তাইওয়ানের বিনিয়োগের জন্য বাজেট রয়েছে।বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের বৈদেশিক বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। বিনিয়োগদাতাদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা তৈরি আছি। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ তাইওয়ানে ৩১ বিলিয়ন ইউএস ডলার রপ্তানী করে। এ বছর আমরা টার্গেট ঠিক করেছি ৩৩ বিলিয়ন ইউ এস ডলার।’
প্রথম বারের মত আয়োজিত এই মেলা ২৩ ও ২৪ নভেম্বর ঢাকার সিক্স সিজন্স হোটেলের গ্রীষ্ম বলরুমে অনুষ্ঠিত হবে।
তাইওয়ান টেক্সটাইল মেলা ২০১৫ বাংলাদেশে তাইওয়ানের সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ও মানের বস্ত্র, সুতা, ফেব্রিকস ও পোষাক নিয়ে এসেছে। এই মেলাটি উন্নত, বিশ্বস্ত ও প্রকৃত টেক্সটাইল পণ্যের দারুণ এক কেন্দ্র ও বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বের সহস্রাধিক আন্তর্জাতিক ডিজাইনার, ব্র্যান্ড, রপ্তানিকারক ও পোষাক নির্মাতাদের কাছে তাইওয়ানের পোষাকভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যের দীর্ঘদিন ধরে সৃজনশীলতা ও সক্ষমতার জন্য দারুণ জনপ্রিয়তা আছে।
বাংলাদেশের পোষাক তৈরি শিল্প ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে আর উৎপাদনশীলতা দারুণ সক্ষমতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪-১৫ সালে ৩১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোষাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় পোষাক রপ্তানিকারক দেশ। ভিন্নমাত্রিক পোষাক তৈরির সম্ভবনা ও গ্রাহকজনপ্রিয়তার জন্য বাংলাদেশের পোষাক তৈরি শিল্পের পরিধি আরও বড় পরিসরের দিকে এগোচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষিতে উন্নতমানের বস্ত্র, বিশেষ প্রকৃতির সুতা আর অন্যান্য কারিগরি যন্ত্রাদির চাহিদাও বাড়ছে দারুণভাবে। বাংলাদেশের পোষাক নির্মাতা ও রপ্তানিকারকদের উন্নতমানের পোষাক ও বস্ত্র নির্মাণে এই কারিগরি যন্ত্র-প্রযুক্তি ও বস্ত্র-সুতার চাহিদাও বাড়ছে বড় আকারে। তাইওয়ান টেক্সটাইল মেলা বাংলাদেশের শিল্পগুলোর জন্য তাইওয়ানের উন্নত প্রযুক্তি আর গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য সম্পর্কে জানার দারুণ এক সুযোগ করে দিয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক পণ্য মেলা বাংলাদেশের শীর্ষ পোষাক নির্মাতা ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাইওয়ানের বস্ত্র ও অন্যান্য কারিগরি যন্ত্র তৈরি কারকদের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ তৈরির মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।
এই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের পন্যের মধ্যে র্যা চেল নিটিং লেইস, ফাংশনাল অ্যাকটিভ ক্যাজুয়াল ফ্যাব্রিক, টেক্সার ফ্যাব্রিক, ডাবল নিচ ফ্লিচ, আর+স্প্যান্ডেক্স জার্সি, গার্মেন্টস সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র পন্য (বোতাম, স্ন্যাপ বোতাম, জিন্স বোতাম, রিভেটস, আইলেটস ইত্যাদি), সিংগেল-ডাবল নিট ফেব্রিক, অ্যাক্রেলিক ইয়ার্ন, টেকনিক্যাল স্ট্রেচ ফেব্রিক, টুইড ফ্রেবিক, লাইট ওয়েট ফেব্ররিক, বাই-স্ট্রেচ ফেব্রিক, এ/ডাব্লিউ মেলাঞ্জ, সিমলেস স্পোর্টসওয়ার, ফাংশনাল স্পোর্টসওয়ার, ওভেন, নিট, লেস অ্যান্ড জ্যাকুয়ার্ড ফেব্রিকসহ বিভিন্ন পণ্য।
তাইওয়ান টেক্সটাইল ফেডারেশন (টিটিএফ) ও ব্যুরো অব ফরেন ট্রেডের আয়োজনে ওয়ার্ল্ডেক্স ইন্ডিয়া এক্সিবিশন বার্ষিক এই মেলা আয়োজন করেছে। নতুন ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরির জন্য পোষাক রপ্তানিকারক, তৈরিকারক, ক্রেতা, ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভিন্নমাত্রিক গতিশীলতা আনতেই এই মেলা।
এই আয়োজনটির সার্বিক পৃষ্টপোষকতায় আছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
২০১৪ সালের তাইওয়ান টেক্সটাইল মেলা দক্ষিন এশিয়া আয়োজনের ফলে সফল বেশ কিছু বাণিজ্যিক উদ্যোগ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের আয়োজনটিও বেশ সফল ও কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে বলে ধারনা করা যাচ্ছে।
মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য লগ ইন করুন: www.ttf.worldexindia.com
আপলোড : ২৩ নভেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৩.৪৯ মিঃ