বৃহস্পতিবার ● ১৯ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাবতলীতে বিএনপি’র গণজমায়েতের প্রস্তুতিকালে টিয়ারসেল নিক্ষেপ : আহত-৩০
গাবতলীতে বিএনপি’র গণজমায়েতের প্রস্তুতিকালে টিয়ারসেল নিক্ষেপ : আহত-৩০
বগুড়া প্রতিনিধি :: বগুড়ার গাবতলীতে বিএনপির গণজমায়েতের প্রস্তুতিকালে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে অনন্ত ৩০জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুলিশ এ সময় থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টনকে গ্রেফতার করে বগুড়া ডিবি অফিসে প্রেরণ করেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
একাধিকসূত্র জানায়, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফেরা উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকেলে গাবতলী থানা ও পৌর বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জমায়েত হতে শুরু করে। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন তাঁর অফিস কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) ফজল-ই-খুদা পলাশ ও মডেল থানার ওসি খায়রুল বাসার এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাঁশি ফুকিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে গেলে দলীয় নেতাকর্মীরা ভয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ মিল্টন দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নেমে এলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তখন লাঠিচার্জ ও শর্টগানের গুলি করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পুলিশ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ মিল্টনের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এরপর সন্ধ্যায় তাঁকে বগুড়া ডিবি অফিসে পাঠানো হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে খাদেমুল হক সবুজ, বাদশা মেম্বার, জুয়েল আহম্মেদ, রুহুল হাসান রুহিন, মুঞ্জু মেম্বার, নিপুল, ছনি, মিঠু, ড্রাইভার শিমুলসহ বিএনপি ও অঙ্গদলের অনন্ত ৩০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এরআগে পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা পৌরসভা কার্যালয় হতে হেঁটে থানার তিনমাথার মোড়ে আসার আগেই থানার উত্তর-পূর্ব পাশে তাদেরকেও লাঠিচার্জ করা হয়।
এতে মেয়র সাইফুল ইসলাম ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আহত হন। গাবতলী মডেল থানার ওসি খায়রুল বাসার জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে গণজমায়াতের প্রস্তুতি নেয়ার সময় তাঁদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ মিল্টনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে উপজেলা মোরশেদ মিল্টন গ্রেফতার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া উপদেষ্ঠা সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।