বুধবার ● ২৫ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » কলেজছাত্র হত্যার দায়ে ৯ জনের ফাঁসি
কলেজছাত্র হত্যার দায়ে ৯ জনের ফাঁসি
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: ১০ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৩৫মি.) গাজীপুরে চাঞ্চল্যকর এক কলেজছাত্র হত্যা মামলায় নয়জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ২৫ অক্টোবর বুধবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া রায়ে অন্য একটি ধারায় প্রত্যেককে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
নিহত ওই কলেজ ছাত্রের নাম শাহাদাত হোসেন সোহাগ (২২)। তিনি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন : গাজীপুর মহানগরীর নিয়ামত সড়ক এলাকার শামসুল হকের ছেলে সেলিম ও একই এলাকার আব্দুল সোবাহানের ছেলে আসাদুল ইসলাম, উত্তর ছায়াবীথি এলাকার নাজমুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে জাকির হোসেন ওরফে জন্টু, বিলাশপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে জুয়েল, শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার বাঘেরভিটা এলাকার বাক্কা মিয়ার ছেলে বাক্কা সুমন, দক্ষিণ ছায়াবীথী এলাকার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে প্রিতম ওরফে প্রিতু ওরফে ইতু, রথখোলা এলাকার সিদ্দিকের ছেলে আরিফ, সামন্তপুর এলাকার লেহাজ উদ্দিনের ছেলে মো. হানিফ এবং উত্তর বিলাশপুর এলাকার মৃত আইয়ুর আলীর ছেলে রিপন আহমেদ জুয়েল।
এদের মধ্যে আসামি সেলিম, হানিফ, জুয়েল এবং আসাদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। রায় ঘোষণাকালে ৫ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আতাউর রহমান খান জানান, নিহত সোহাগ গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি সোহাগের বন্ধু বিহন কায়সার ফোন করে তাকে জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে আসতে বলে। সোহাগ তার বন্ধু নাহিদকে সাথে নিয়ে ওই মাঠে গিয়ে দেখে বিহন কায়সার, তার স্ত্রী আঁঁখি, হানিফকে এবং অপর আসামিদের দেখতে পায়। সেখানে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা ছুরি, কিরিচ, ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ইত্যাদি নিয়ে সোহাগসহ তাদের ওপর হামলা করে। এতে ছুরিকাঘাতে সোহাগ আঘাত প্রাপ্ত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে রিক্সাযোগে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে আবার হামলা ও ছুরিকাঘাত করে আসামিরা। পরে সোহাগকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সোহাগের পালিত বাবা আবুল হাসেম সুফি বাদি হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ৯জনকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ১৪জন স্বাক্ষীর সাক্ষ গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ শুনানী শেষে বুধবার আদালত এ রায় ঘোষনা করেন।
রাস্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মো. আতাউর রহমান খান, মো. আব্দুর করিম ও মকবুল হোসেন কাজল। আসামি পক্ষে ছিলেন : এডভোকেট জেবুন্নেসা মিনা, অজুফা অলি মুক্তা, কামরুল হাসান ও শরিফুল ইসলাম।