সোমবার ● ৩০ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » সিলেটে ফুটপাতের হকার নিয়ন্ত্রণকারী ২১ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পৌঁছেনি থানায়
সিলেটে ফুটপাতের হকার নিয়ন্ত্রণকারী ২১ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পৌঁছেনি থানায়
সিলেট প্রতিনিধি ::(১৫ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.০৭মি.) সিলেট নগরীর ফুটপাতের হকার নিয়ন্ত্রণকারী ২৬ জনের মধ্যে ৫ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পৌঁছলেও এখনও থানায় পৌঁছেনি বাকি ২১ জনের পরোয়ানা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ১০ দিন দিন অতিবাহিত হলেও আদালতপাড়া থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কোতয়ালি থানায় এখনও যায়নি পরোয়ানার কাগজ।
আদালতের নির্দেশে সিলেট মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের হকার নিয়ন্ত্রণ কারীদের তালিকা দাখিল করেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গৌছুল হোসেন।
সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো গত ১৯ অক্টোবর হকার সিন্ডিকেটের নেতা রকিব আলী সহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ ব্যাপারে অগ্রগতির বিষয়ে ৫ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ সি ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
আদালত সূত্র জানায়- গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জনই কোতোয়ালি থানা এলাকার। বাকী একজন আম্বরখানা-সালুটিকর এলাকার। সেই হিসেবে ২৫ জনের পরোয়ানা কোতয়ালি থানায় এবং একজনের পরোয়ানা বিমানবন্দর থানায় যাওয়ার কথা।
নিয়ম অনুযায়ী ১৯ অক্টোবর বিকেলেই আদালত থেকে সিলেট কোতোয়ালি থানার জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার (জিআরও) নেহার রঞ্জনের কাছে ৯ জনের পরোয়ানা পাঠানো হয়। বাকি ১৭ জনের পরোয়ানা পাঠানো হয় ২২ অক্টোবর। কিন্তু পুলিশ বলছে এখন পর্যন্ত ২১ জনের পরোয়ানা থানায় পৌঁছেনি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন বলেন- ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি ২৬ জন হলেও গত ২৫ অক্টোবর ৫ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছেছে। পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’
সিলেট কোতোয়ালি থানার জিআরও নেহার রঞ্জন ২৬ জনের পরোয়ানা প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ‘হকার নেতা রকিবসহ ৭ জনের পরোয়ানা থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। আর অবশিষ্ট পরোয়ানা বিভিন্ন থানায় প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
’সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়- নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধীন ১৫ কিলোমিটার ফুটপাত রয়েছে। এর মধ্যে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার ফুটপাত অবৈধভাবে হকাররা দখল করে রেখেছে। ফুটপাত ছাড়া আরও অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকার মূলসড়কও দখল করে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে ব্যবসা করছে। সিটি করপোরেশনের ফুটপাত ছাড়া আরও প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে সওজের ফুটপাত।