মঙ্গলবার ● ৩১ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসী সভা
গাজীপুরে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসী সভা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৬ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৩মি.) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ (৪-৯ নভেম্বর) উপলক্ষে এ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে নগর ভবনের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আবদুল হামিদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম. রাহাতুল ইসলাম।
অন্যান্য মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ডঃ খ.ম. কবিরুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ.রহমত উল্লাহ ও ফুড এন্ড স্যানিটেশন অফিসার মমতাজ বেগম প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, আগামী ৪ নভেম্বর শনিবার থেকে ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মহানগরে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী মাদ্রাসা, মক্তব, এতিমখানা, কিন্ডার গার্টেনসহ ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভুত, পথশিশু, শ্রমজীবী শিশুদেরকে একই নিয়মে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির মাধ্যমে সকলকে ভরাপেটে এক ডোজ মেবেন্ডাজল-৫০০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।
ডা. মো. রহমত উল্লাহ কৃমি ট্যাবলেট খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর মাল্টিমিডিয়ার প্রজেক্টরের মাধ্যমে জানান, ভরা পেটে (সকালে স্কুলে উপস্থিত হওয়ার পর পরই) কৃমির ঔষধ খাওয়ালে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে কৃমিতে আক্রান্ত শিশুকে খাওয়ানো হলে পেটে ব্যাথা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই, শিশুকে দ্রুত সংশিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। কৃমি নাশক ঔষধ সেবনের দিন শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা বা প্যারেড না করানো উচিৎ।
তিনি আরো জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতেও সপ্তাহ শুরুর পূর্বেই ‘ক্ষুদে ডাক্তার’ টীম গঠন করতে হবে। শিক্ষকসহ ক্ষুদে ডাক্তার টীমের সদস্যদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত বা ঝড়ে পড়া সমবয়সী ছেলেমেয়েদের এ সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং ট্যাবলেট খাওয়ানোর ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
এ্যাডভোকেসী সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক)সহ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা, কাউন্সিলর, সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন মাদ্রাসা, মক্তব, এতিমখানা, কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এনজিও কর্মকর্তাগণ। সভার শুরুতে পবিত্র কোনআন থেকে তেলাওয়াত করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা কাউসার আহমাদ হাবিবী।