মঙ্গলবার ● ৩১ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে হত্যার দায়ে দুই জনের মৃত্যুদন্ড
গাজীপুরে হত্যার দায়ে দুই জনের মৃত্যুদন্ড
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৬ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৩১মি.) গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গ্রীল ওয়ার্কশপ মিস্ত্রী উজ্জ্বল চন্দ্র মনিদাস (২৪) হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় প্রদান করেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অন্য একটি ধারায় দুই আসামির প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাস করে কারাদন্ডের রায় দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত উজ্জ্বল চন্দ্র মনিদাস গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও গ্রামের অর্জন চন্দ্র মনিদাসের ছেলে।
মৃত্যুদন্ড দন্ডপ্রাপ্তরা হলো : গাজীপুরের কাপাসিয়ার তরগাঁও মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ মোস্তফার ছেলে মো. শাকিল (২০), একই থানার তরগাঁও ঋষিপাড়ার স্বপন চন্দ্র মনিদাসের ছেলে সঞ্জীবন চন্দ্র মনিদাস (২৩)। মামলার অপর আসামি ভবতোষ মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর আদালতের পিপি এডভোকেট মো. হারিছ উদ্দিন আহমদ জানান, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গ্রিল ওয়ার্কশপের মিস্ত্রী উজ্জল চন্দ্র মনিদাস তরগাঁও গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেন নি। নিখোঁজের ঘটনার দুইদিন পর অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে স্বজনরা গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে উজ্জ্বলের লাশ সনাক্ত করেন। ওই বছরের ১৯ নভেম্বর নিহতের ভাই উত্তম চন্দ্র মনিদাস কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
পিপি মো. হারিজ উদ্দীন আহমদ জানান, উজ্জল চন্দ্র মনিদাসের এক স্বজনের সঙ্গে আসামি সঞ্জীবন চন্দ্র মনিদাসের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর রাতে উজ্জলকে স্থানীয় শ্মশানঘাট ডেকে নিয়ে শাকিল ও সঞ্জীবন গলা কেটে হত্যার পর লাশ পার্শ্ববর্তী শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় উজ্জলের ব্যবহৃত মোবাইল খালাস পাওয়া আসামি ভবতোষ মল্লিকের নিকট বিক্রি করে।
তিনি আরো জানান, পুলিশ এ ঘটনায় শাকিল, সঞ্জীবন ও ভবতোষ মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ভবতোষকে খালাস দিয়েছে।
দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে আদালত এই রায় প্রদান করেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমদ ও আসামী পক্ষে ছিলেন মো. নূরুল আমিন ও মিয়া মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার।