বুধবার ● ১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » মিয়াদ হত্যাকান্ড : মিয়াদের ভাতিজাসহ ২১জনকে আসামী করে পাল্টা মামলা
মিয়াদ হত্যাকান্ড : মিয়াদের ভাতিজাসহ ২১জনকে আসামী করে পাল্টা মামলা
সিলেট প্রতিনিধি :: (১৭ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.০৬মি.) সিলেট নগরীর টিলাগড়ে ছাত্রলীগকর্মী ওমর আলী মিয়াদ খুনের ঘটনায় এবার মিয়াদের ভাইসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৫/৭ জনকে আসামী করে পাল্টা মামলা দায়ের।
মিয়াদ হত্যা মামলার আসামী, কারবান্দি তোফায়েল আহমদ ও ফখরুল ইসলামের পিতা মুহিবুর রহমান ময়না মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার সিলেট অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন (শাহপরাণ থানা সি আর মামলা নং ২৬৮)। ময়না মিয়া জকিগঞ্জের থানাবাজারের সেনাপতির চরের বাসিন্দা।
মামলায় ১নং আসামী করা হয়েছে নিহত মিয়াদের ভাই বালুচর শান্তিবাগের বাসিন্দা আকুল মিয়ার ছেলে রিয়াদকে (২২)। মামলার অন্য আসামীরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন আহমদ চৌধুরী (৩০), শাহজালাল উপশহরের বাসিন্দা মুসলেহ উদ্দিন (২৫), জকিগঞ্জের সেনেশাহ গ্রামের ফুয়াদ আল আমীন (২৮),
সোবহানিঘাট ৩৪/বি মৌবন বাসার বাসিন্দা তারেক আহমদ (২৪), গোপালটিলার বাসিন্দা মিঠু তালুকদার (২৫), শাহপরাণ থানাধীন চান্দুশাহ মাজারের পাশে কালাশাইল এলাকার বাসিন্দা হোসেন আহমদ (২৪), টুলটিকর এলাকার ফাইয়াদ আহমদ জামিল (২৬), কালাশাইলের বাসিন্দা সঞ্জয় চৌধুরী (৩০), কনকপাল অরূপ (২৯), আলতাফ হোসেন মুরাদ (২৭),খাদিমপাড়া এলাকার আদিত্য ইসলাম সালমান (২৪), নবীগঞ্জের লামলির পাড় গ্রামের মতিউর রহমান চৌধুরী (২৬), জকিগঞ্জের গঙ্গাজলের ইমরান আহমদ (২৪), শাহপরাণ থানাধীন বুরুঙ্গী এলাকার সোহেল আহমদ ওরফে ভাঙাড়িসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।
ময়না মিয়া আদালতে মামলা দায়েরের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন- আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে শাহপরাণ থানা পুলিশ তার মামলাটি গ্রহণ করেনি। তাই তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
এদিকে ছাত্রলীগকর্মী ওমর আলী মিয়াদ হত্যাকান্ডের পর গত ১৮ অক্টোবর রাতে মামলা দায়ের করা হয়। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরীসহ ১০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এই মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা মো. আবুল মিয়া।
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ অক্টোবর বিকেল ৩ টার দিকে নগরীর টিলাগড়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ছুরিকাঘাতে ওমর আলী মিয়াদ নিহত হন।