শনিবার ● ৪ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » গত ১ সপ্তাহে ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
গত ১ সপ্তাহে ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
উখিয়া প্রতিনিধি :: (২০ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ রাত ৯.১০মি.) মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার দুই মাস অতিবাহিত হলেও রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বন্ধ হয়নি। গত এক এক সপ্তাহে নতুন করে পালিয়ে এসেছে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা।
রাখাইনে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়া করতে নানা কৌশল নিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ফলে নতুন করে পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, নানামুখী নির্যাতনের পাশাপাশি খাদ্য সংকটে ফেলে অবরুদ্ধ করে তাদেরকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। যদিও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করে দীর্ঘ দুই মাস নিজ ভিটেমাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে তারা।
পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারের বুচিদং ও রাচিদং এলাকা হয়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে এদেশে প্রবেশ করছে তারা। কেপ্রুদং এলাকা থেকে পালিয়ে আসা আবদু শুক্কুরের স্ত্রী রশিদা (২৫) সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এখন তাদের নির্যাতন করছে না। তবে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। যার দরুণ তারা খাবার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। এভাবে অভুক্ত থেকে সহ্য করতে না পেরে অবশেষে তারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহের কত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে এর তথ্য জানা নেই তবে দুই দিনে প্রায় ৩ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা উখিয়ার সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীর আশেপাশের ক্যাম্প গুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন ৩৪ বিজিবি কমান্ডার মেজর মো. ইকবাল আহমেদ।
কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মো. রেজাউল সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, গত এক সপ্তাহে আঞ্জুমান পাড়া সীমান্ত থেকে প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার এবং গত দুই দিনে ২৫০ রোঙ্গিঙ্গা পরিবারকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের আশ্রয় ব্যবস্থা ও ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, গত এক সপ্তাহের ১৩ হাজার রোহিঙ্গা নাফনদী পার হয়ে আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। আশ্রীত এসব রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের হাতে ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও গুলো মোবাইল তুলে দেওয়ার কারণে রোহিঙ্গা আসা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান।
সড়ক পথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোষ্ট ও নজরদারি ফাঁকি দিয়ে দালালদের সহায়তায় চোরাইপথে অনেক রোহিঙ্গা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বেড়ে যাওয়া চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।