সোমবার ● ৬ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, ২জনের যাবজ্জীবন
হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, ২জনের যাবজ্জীবন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২২ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪৩মি.) গাজীপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মচারী আমির হোসেন রিংকুকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ ৬ নভেম্বর সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে একই সঙ্গে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল-আমিন ওরফে ছিনতাইকারী আল আমিন (৩৪)। তিনি বরিশালের কোতোয়ালী থানার পলাশপুর গ্রামের মৃত শাহজাহান ফকিরের ছেলে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো : গাজীপুরের টঙ্গী মরকুন টেকপাড়া এলাকার আজগর আলীর ছেলে রকি ওরফে রাকিব (২৬) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার শাহাপুর গ্রামের মৃত ফজু মিয়ার ছেলে কাকন ওরফে কালন (২৫)। রায় ঘোষণাকালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল আমিন ছাড়াও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর আদালতের পিপি মো. হারিছ উদ্দীন আহমেদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, টঙ্গীর গোপালপুর পশ্চিম পাড়ার ইসমাইল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে আমির হোসেন রিংকু উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা ২০১৫ সালের ১২ জুন রাত পৌনে ১০টার দিকে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাষ্টার উড়াল সেতুর পূর্ব প্রান্তে সাতরং রোডের বিপরীতে পাকা সড়কের উপর ভিকটিম আমির হোসেন রিংকুকে একা পেয়ে তার গতিরোধে করে মারধর করে। এক পর্যায়ে রিংকু দৌঁড়ে বাঁচার চেষ্টা করে। এ সময় ছিনতাইকারী আল আমিন, ইলিয়াস ও অপর আসামিরা রিংকুকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রিংকু মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুল কাইয়ুম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে তিনজনকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ১১ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট নয়জন সাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন গাজীপুর আদালতের পিপি মো. হারিছ উদ্দীন আহমেদ। আসামি পক্ষে ছিলেন সরকার মো. মিজানুর রহমান রিপন ও আম্বিয়া আফরোজা রত্না।