মঙ্গলবার ● ৭ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » শিরোনাম » অলৌকিক ভাবে ৩ দিনের চিল্লা শেষে কবরে অক্ষত অবস্থায় উঠে এলেন জিন্দা শাহ
অলৌকিক ভাবে ৩ দিনের চিল্লা শেষে কবরে অক্ষত অবস্থায় উঠে এলেন জিন্দা শাহ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: (২৩ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৩৯মি.) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ৩দিনের কবর চিল্লা শেষে কবর থেকে জীবিত অক্ষত অবস্থায় উঠে এলেন জিন্দা শাহ । জিন্দা শাহ নামের এই ব্যক্তির অদ্ভুত কর্মকান্ড নতুন নয় এর আগে ও একাধিক বার চিল্লায় গেছেন জিন্দা শাহ । এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে । গত শনিবার রাতে কবরবাসে যান জিন্দা শাহ । এমন কর্মকান্ডকে ‘ভন্ড পীর বলেও মন্তব্য করছেন অনেকেই।
জানা যায়, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তিমিরপুর গ্রামের বাসিন্দা জিতু মিয়া। বয়স ৭০ বছরের বেশি হবে। জিতু মিয়া নিজেকে জিন্দা শাহ দাবী করেন। এমনকি এলাকার তিনি জিন্দা বাবা নামে পরিচিত। গত শনিবার রাত ৩ টার সময় জিন্দা শাহ নিজের ঘরের ভিতরে একটি কবর খনন করে ৩দিনের চিল্লায় চলে যান কবরবাসে। তারপর তিন দিন তিন রাত শেষে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে কবর চিল্লা শেষে অক্ষত অবস্থায় উঠে আসেন জিন্দা শাহ।
এ সময় জিন্দা শাহ’র বাড়িতে উৎসুক জনতার ভীড় ছিল লক্ষনীয়। কবর থেকে উঠে এসে জিন্দা শাহ জিতু মিয়া (জিন্দা শাহ) প্রতিবেদকে জানান ৩দিন ৩রাত শেষে আজ উঠে এসেছি। প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমার সঙ্গে প্রতিবারের মতো এবার ও ৩শ গ্রাম আঙ্গুর ছিল,কবর চিল্লা এখানেই শেষ । কিছুদিনের ভিতর ওরস করবো এবং যদি কেউ স্থান দেয় তাহলে অগ্নি চিল্লা ও পানি চিল্লা করবো।
জানা গেছে,জিতু মিয়া (জিন্দা শাহ) কবরে যাওয়া এবারই প্রথম নয় ! এর আগেও তিনি একাধিকবার কবরে অবস্থান করেছেন। এমনিক পানিতে ভেসেও রাত কাটিয়েছেন। জিন্দা শাহ গত ৪৫ বছর ধরে ভারতসহ দেশের বিভিন্ন মাজারে মাজারে ‘সাধনা’ করেছেন। তিনি হবিগঞ্জ শহরতলীর মরহুম আধ্যাত্মিক সাধক দেওয়ান মাহবুব রাজার ভক্ত। স্বপ্নের মাধ্যমে মাহবুব রাজার কাছ থেকে ‘চিল্লা’য় যাওয়ার নির্দেশ পেয়েছেন তিনি। জিতু মিয়ার মূল বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলায়। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার তিমিরপুর গ্রামে বাস করছেন তিনি। এর আগেও তিনি ১১বার কবরে চিল্লা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংসার জীবনে তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ের পিতা। কিন্তু সংসারে তিনি থাকেন না। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন। জিন্দা শাহর কবর চিল্লায় যাওয়ার ঘটনায় শিরিক আখ্যায়িত করে মাওলানা আব্দুর রকিব হাক্কানী জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে কিছু লোক আছে নানা কু-সংস্কার জড়িত। দ্রুত ভন্ডপীর এর বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।