শনিবার ● ১১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মহালছড়িতে এম এন লারমার মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
মহালছড়িতে এম এন লারমার মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: (২৭ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৪.৪১মি.) খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০ ভাষাভাষি ১৩টি জাতিসত্বার জাতীয় অস্তিত্ব লড়াইয়ের সংগ্রামের অগ্রদূত ১০ নভেম্বর ৮৩ সালে দলীয় অর্ন্তকোন্দলে নিহত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(পিসিজেএসএস)’র সভাপতি মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৪তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেছে এম এন লারমা পন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। সকাল ১০টায় প্রয়াত লারমার বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জনসংহতি সমিতি ও অংগ সংগঠনের নেতা কর্মিরা। ১০ নভেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রয়াত নেতা এম এন লারমার শ্মরণে জন সংহতি সমিতি মহালছড়ি উপজেলা শাখা কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। শোক সভায় যুব সমিতি মহালছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন চাকমার সঞ্চালনায় জন সংহতি সমিতি মহালছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি নীল রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনসংহতি সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক সুভাষ কান্তি চাকমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনসংহতি সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক উগ্য চৌধুরী, মহালছড়ি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কাকলী খীসা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক থুইলাঅং মারমা ও জনসংহতি সমিতি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ সভাপতি প্রিয় কুমার চাকমা।
এসময় বক্তব্য রাখেন জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক হারজিৎ চাকমা, সুজিতা চাকমা ও নরমবলী চাকমা প্রমূখ।
আলোচনার শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জনসংহতি সমিতি মহালছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা এবং প্রয়াত’র শ্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শোক সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার হারা জুম্ম জাতিসত্ত্বার একমাত্র পথ প্রদর্শক প্রয়াত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তৎকালীন এক বিপথগামী পথভ্রষ্ট কতিপয় মানুষরূপী জানোয়ারের হাতে খুন হলেও সেই বীজে উৎপন্ন হওয়া বিশ্বাসঘাতকেরা এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এখনো একটি গোষ্ঠি এ প্রয়াত নেতার বিরোধীতা করে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্ত করছে। তারা জুম্মোজাতির শত্রু। এদের চিহ্নিত করে পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটিতে বিচার করতে হবে। এই শোকাবহ দিবসকে চেতনার শক্তিতে রূপান্তরিত করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।