শিরোনাম:
●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান
রাঙামাটি, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ১১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » অর্গানিক চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুর্দ্ধ করতে কৃষি কর্মকর্তার সংগ্রাম
প্রথম পাতা » কৃষি » অর্গানিক চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুর্দ্ধ করতে কৃষি কর্মকর্তার সংগ্রাম
শনিবার ● ১১ নভেম্বর ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অর্গানিক চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুর্দ্ধ করতে কৃষি কর্মকর্তার সংগ্রাম

---ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২৭ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৫.৪৭মি.) কোনো ধরনের কৃত্রিম সার, রাসায়নিক, কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলকেই অর্গানিক বলা হয়। জৈব সার ব্যবহারে মাটির উর্বরতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় বিষমুক্ত চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তার পরামর্শে ইতিমধ্যে উপজেলার কয়েক’শ কৃষক চাষাবাদ করছেন জৈব পদ্ধতিতে। এমনই একজন কৃষক সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী। আগে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে চাষাবাদ করলেও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি এখন জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। এতে সফলও হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে গ্রীণচাষী খেতাব অর্জন করেছেন তিনি। তার উৎপাদিত সবজি বা ফসলাদির চাহিদা রয়েছে ওই এলাকায়। আর একজন কৃষক সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের দুদুমিয়া। ইতিমধ্যে তার কয়েক বিঘা জমিতে শুরু করেছেন জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ। সেক্সফেরোমন ট্রাপ ব্যবহার, কোচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করছেন তার জমিতে। কৃষক দুদমিয়া জানান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান এর পরামর্শে তিনি রাসায়নিক সার ব্যবহার বাদ দিয়ে জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। এতে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেমন জৈব সারের প্রয়োজন তেমনি উৎপাদিত সবজি মানব দেহের জন্যেও নিরাপদ ও সুস্বাস্থ্য রক্ষা হতে পারে।

তাই রাসায়নিক সার ব্যতিরেকে জৈব সারের ব্যবহার করছেন বলে তিনি জানান। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বাজার থেকে আমরা যেসব খাবার-দাবার ও সবজি কিনে খাই, তার প্রায় সবগুলোর মধ্যেই বিভিন্ন কৃত্রিম সার, রাসায়নিক মিশ্রিত থাকে। এর ক্ষতিকারক প্রভাব আমাদের সবার উপর পড়ছে। কৃত্রিম সার, রাসায়নিক দ্রব্য, ফরমালিন ইত্যাদির যথেচ্ছ ব্যবহারে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, লিভারের ক্ষতি সাধনসহ নানাবিধ রোগব্যাধির প্রকোপ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অর্গানিক খাবার ও শাক-সবজি আমাদের নিজেদের জন্য তো দরকারই, শিশুদের জন্য এর প্রয়োজন আরও বেশি।এ কারণেই সদর উপজেলাকে বিষ মুক্ত চাষাবাদের মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও সদর উপজেলায় ২৮০ টি সিআইজি গ্রুপ ও ৩২০ টি এসএফজি গ্রুপ তৈরী করা হয়েছে। এই কৃষক সংগঠনের মাধ্যমে কৃষকদের জৈব চাষে উঠান বৈঠক ও মাঠ দিবসের মাধ্যমে পরামর্শ প্রদাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জৈবসার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল এবং সবজির উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। জৈবসার ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন খরচ রাসায়নিক সারের চেয়ে শতকরা ৫০-৬০ শতাংশ কম হয়। অর্গানিক খাবার ও শাক-সবজি হয়ত সামান্য ব্যয়বহুল। তবুও ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে আমাদের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বর্জন করতে হবে। আর এতে সবথেকে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। তবেই আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বিষমুক্ত দেশ গড়তে পারবো।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)