শনিবার ● ১১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ মুখে স্লোগান এর ভিতরে দুনীতির মহোৎসব
পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ মুখে স্লোগান এর ভিতরে দুনীতির মহোৎসব
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: (২৭ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩৪মি.) পুলিশই জনতা,জনতাই পুলিশ এই স্লোগান মুখে আবার ভিতরে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব। ঝালকাঠি জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষমতার অপব্যাবহার, সেচ্ছারিতা, বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যে ও মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত সহ সীমাহিন অভিযোগে জর্জরিত ঝালকাঠি জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের কয়েকজন বিতর্কিত কর্মকর্তার এহোনো কর্মকান্ডে ঝালকাঠি মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের আর কত দুর্নীতির কালিমা রোপনে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের টনক লড়বে ?
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ঝালকাঠি থানার এস আই মনিরুজ্জামান মনির ঝালকাঠি থানায় যোগদান করার পর থেকেই একের পর এক ঘুষ বানিজ্য, নিরিহ মানুষকে পুলিশি হয়রানী,মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়া সহ সকল অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানাগেছে। সম্প্রতি শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় পাচ লক্ষ টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে দের লাখ টাকা দিয়ে বাকী টাকা নিজের পকেটে রাখে এ ঘটনায় ও ই পরিবার ভয়ে মুখ না খুললে চাপা ক্ষোভে পুলিশের প্রতি ঘৃনা ও ধিক্কার জানিয়েছে। এক ভিক্ষুকের কাছ থেকেও পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেয় এ বিতর্কিত এস আই মনির । কিন্তু মনিরের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার পরও বহাল তবিয়াতে থাকায় সাধারণ মানুষ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সহস পায় না বলে জানিয়েছে ভূক্তভুগী পরিবার গুলো। প্রশ্ন তুলেছে মনিরের খুটির জোড় কোথায় ?।
অপরদিকে নলছিটি থানার এস আই তাফস ,এস আই নুর হোসেন ও এস আই ফিরোজের বিরুদ্ধে সীমাহিন অভিযোগ থাকলেও বহাল তবিয়াতেই রয়েছে ওই কর্মকর্তারা । রাজাপুর থানার সদ্য বিদয়ী ওসি মনিরুল গিয়াস ও এস আই চান মিয়া, এস আই ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধেও রয়েছে বহু অভিযোগ।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, পুলিশ জনগনের বন্ধু । পুলিশ যদি কোন অপরাধে জড়িত হয় তদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না । আর যে সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থানেওয়া হবে। ইতি মধ্যেই তদন্তও চলছে বলে তিনি দাবী করেন।