মঙ্গলবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাঁশের তৈরী সেতুতে প্রতিবার পারা-পারে আদায় করা হচ্ছে জনপ্রতি ৩ টাকা
বাঁশের তৈরী সেতুতে প্রতিবার পারা-পারে আদায় করা হচ্ছে জনপ্রতি ৩ টাকা
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৩০ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৩.০৫মি.) ধ্বসে পড়ার ১৬ মাস পরও নির্মান সম্ভব হয়নি ঝিনাইদহের নারিকেলবাড়িয়া-টিকারী সড়কের সানচাই নদীর টিকারী সেতুটি। দীর্ঘদিন হাজারো মানুষ কষ্ট করে বাঁশের সেতুর উপর দিয়ে পয়সার বিনিময়ে পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। মটরসাইকেল, বাইসাইকেল ওই সেতু দিয়ে পার করা গেলেও ভারি কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। যার কারনে অত্রাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। স্থানিয়রা বলেন, ২০১৬ সালের ৬ জুন তাদের এলাকার নারিকেলবাড়িয়া-টিকারী সড়কের টিকারী বাজারের পাশে সানচাই নদীর উপর সেতুটি ধ্বসে পড়ে। এরপর স্থানিয় এলজিইডি’র পক্ষ থেকে টপস্লাবটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আজো নির্মান কাজ শুরু করা হয়নি। স্থানিয়রা বলেন, ১৯৯৪ সালে নির্মান করা হয় সেতটিু। স্থানিয় এলজিইডি বিভাগ সেতুটি নির্মান করেন। এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে জিতড়, মিয়াকুন্ডু, কুশোবাড়িয়া, ধননঞ্জয়পুর, মুক্তারামপুর, মাড়নিব্দ, নারিকেলবাড়িয়া, টিকারী, দহখোলা, দিঘিরপাড়, লক্ষিপুর, মালঞ্চি, ব্যাংশ, বেরুইলসহ পাশ^বর্তী বেশ কিছু গ্রামের মানুষ। ঝিনাইদহ জেলা শহর হতে নারিকেলবাড়িয়া টিকারী হয়ে মাগুরা শহরে চলে গেছে এই রাস্তাটি। যে কারনে ভারি যানবাহনও চলাচল করে এই সেতুর উপর দিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, সেতুটি ধ্বসে পড়ার পূর্বে তারা এলজিইডি অফিসে খবর দিয়েছিলেন। খবর পেয়ে তারা ভারি যানবাহন চলাচল না করার জন্য একটি সাইনবোর্ড দিয়ে যান। সেই ভাবে চলে আসছিল।
ভারি যানবাহন চলাচল করতো না। ভ্যান, নসিমন, করিমন, বাইসাইকেল চলাচল করতো। মাঝে মধ্যে দুই একটি গরুরগাড়ি চলাচল করতো। এই অবস্থায় সেতুটি ধ্বসে পড়েছে। এরপর তারা আশা করেছিলেন অত্রাঞ্চলের মানুষের কথা চিন্তা করে এলজিইডি দ্রুত সেতুটি মেরামত করবেন। সরেজমিনে সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি লোকজন পার হচ্ছে পাশের বাঁসের তৈরী সেতু দিয়ে। বছরের পর বছর ধরে প্রতিবার পার হতে জনপ্রতি ৩ টাকা আর ছোট ছোট যানবাহন প্রতি ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। স্থানিয়রা আরো বলেন, এই সেতুটি ছিল অত্রালাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। সেতুটি ধসে পড়ায় মানুষের সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ কোনো মালামাল পারাপার করতে পারছেন না। নৌকায় করে মালামাল এপার থেকে ওপারে নিতে হচ্ছে। সুবোধ কুমার নামের স্থানীয় জৈনিক ব্যক্তি এই বাঁশের সেতুটি তৈরী করেছেন। সেটার উপর দিয়ে পথচারীরা চলাচল করছেন। তিনি বলেন, এটা করে তিনি মানুষের খেদমত করছেন। এই সেতুটি না তৈরী করলে জনসাধারণের ভোগান্তির শেষ ছিল না। তিনি জানান, সেতুটির ধসে পড়া অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। মূল পিলারগুলো দন্ডায়মান রয়েছে। এর উপর টপস্লাব নির্মান করবে। এ ব্যাপারে এলজিইডি’র ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, ইতিমধ্যে সেতুটি নির্মান জন্য তারা টেন্ডার করিয়েছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারনে কাজ করতে পারছেন না। তিনি আশা প্রকাশ করেন বলেন, দ্রুত সেতুটি তারা নির্মান করতে পারবেন।