মঙ্গলবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » লামায় অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ
লামায় অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::(৩০ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.২৮মি.) লামার সরই ইউনিয়নে বান্দরবান জেলা পরিষদের আওতাধীন ইজারাদার কর্তৃক অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। অভিযোগে অতিরিক্ত ও জোরপূর্বক টোল আদায়, টোল আদায়কালে রশিদ না দেয়া, ইজারাদার টোল আদায়ের বিবরণী হিসাব সাইনবোর্ড হিসেবে প্রদর্শন করার কথা থাকলেও না করে মনগড়া ভাবে টাকা আদায় এবং ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার অনিয়মগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ী মো. সেলিম সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে জানান, ইজারাদার মো. দিলশান ও জামাল উদ্দিন পার্শ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা। তারা ইজারা নেয়ার পর থেকে সরকারি নিয়মনীতি না মেনে অতিরিক্ত টোল আদায় করে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না।
সরই এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মো. বদিউল আলম, ইদ্রিস, আব্দুর রহিম ও রেজাউল করিম সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে বলেন একছড়ি কলা আনলেও তাদের টোল দিতে হয়। টোল নেয়ার সময় টাকার রশিদ চাইলে তারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। সরকারী টোল আদায়ের চার্ট দেখাতে বললে তারা দেখায় না। টোল আদায়ের পয়েন্টে টোল আদায়ের হিসাব বিবরণী সাইনবোর্ড আকারে প্রদর্শন করার কথা থাকলেও তারা তা করেনি। অসহায় দরিদ্র উপজাতি বাঙ্গালীরা সাপ্তাহিক হাটের দিন সামান্য কিছু মালামাল নিয়ে আসলে তারা অতিরিক্ত টোল নেয়ার কারণে বাজারের কৃষকের উপস্থিতি কমে গেছে।
এতে করে প্রকৃত মালের মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের অত্যাচারে বাজারে গরু, ছাগল বেচাবিক্রি কমে গেছে। চড়া টোল আদায়ের ভয়ে সাধারণ মানুষ নিজেদের উৎপাদিত শস্য, সবজি, গাছ, বাশ, ফলমূল, গরু-ছাগল বাজারে আনা বন্ধ করে দিয়েছে। আর এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ঠকাচ্ছে।
অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা পরিষদের আওতাধীন টোল আদায়কারী (ইজারাদার) মো. দিলশান সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে জানান, অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ মিথ্যা। ব্যবসায়ীদের কাছে যতটুকু মালামালের টোল নিচ্ছেন তার রশিদ দিচ্ছেন। তবে কর্মচারীরা অতিরিক্ত টোল আদায় নিয়ে ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে শুনেছেন।
সরই ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদ-উল আলম জানিয়েছেন, অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে আমাকে অনেকে বলেছে। আমরা বললেও ইজারাদাররা কর্ণপাত করে না। অতিরিক্ত টোল আদায় করার জন্য তারা টোল আদায়ে হিসাব চার্ট লাগায়নি। সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে।
এবিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আবসার বলেন, কোন পণ্য হতে কি পরিমাণ টোল আদায় করবে তার হিসাব ইজারাদারদের দেয়া হয়েছে। এর বাইরে অতিরিক্ত টোল আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।