মঙ্গলবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » ফিচার » কোয়েল পাখির খামারে বদলে দিল যুবকের জীবন
কোয়েল পাখির খামারে বদলে দিল যুবকের জীবন
মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (৩০ কার্তিক ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৪৭মি.) সখের বসে কোয়েল পাখির খামার করে আয়ের মুখ দেখছেন সিলেটের বিশ্বনাথের তরুণ উদিয়মান যুবক রওশন আহমদ। প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে ওই যুবক প্রায় ৬০০ টাকার আয় করছেন। একসময় পরিবারের বড় ভাইদের টাকার উপর নির্ভশীল থাকলেও এখন আর সে দিকে থাকাতে হয়না। নিজের পায়ে দাড়াতে রওশন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
সখের স্বাদ পূর্ণ করতে কোয়েল পাখির খামার করেন রওশন আহমদ। সখের পাশাপাশি চিন্তা করতেন উপার্জনেরও। কম খরছে বেশী লাভের বিষয় নিয়ে ভাবতেন সব সময়। তিনি খামার শুরুর পূর্বে বেশ কয়েকটি খামার ঘুরে দেখেন এবং সেই বিষয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে থাকেন। পরে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের শহিদ সোলেমাননগর মিরগাঁও গ্রামের বসত বাড়িতে গড়ে তুলেন কোয়েল পাখির খামার ‘সিলবি ফার্ম’। ফার্মে রওশন আহমদ প্রতিদিন কাজের লোকের সাথে কমপক্ষে ৭/৮ ঘন্টা সময় নিজে কাজ করেন।
অল্প সময় পরিশ্রম করে রওশন আহমদ আয়ের মুখ দেখছেন। কোয়েল পাখির ডিম ও বাচ্ছা বিক্রি করে প্রতিদিন তিনি প্রায় ৬০০ টাকা করে উপার্জন করছেন।
সরেজমিনে সিলবি ফার্ম ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ৭ হাজার বাচ্ছা রাখার জন্য একটি শেড রয়েছে ওই ফার্মে। পাখি রাখার জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা আছে। প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর অন্তর কোয়েল পাখি ডিম দিচ্ছে এগুলো দুজন কাজের লোকও রওশন কুড়েঁ এক সাথে ঘরের আলাদা স্থানে সারিবদ্ধভাবে রাখছেন। পরে ডিমগুলো বাচাই করে বাচ্চা ফুটানোর জন্য মেশিনে দিচ্ছেন। ফার্মে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাসহ সারিকরে রাখা পাখিগুলোর খাবার।
রওশন আহমদ বলেন, মূলত ফার্ম করার উদ্দেশ্য হল সখের বসে। ফার্ম করে এখন আমার প্রতিদিন আয় হচ্ছে প্রায় ৬০০ টাকা। বাচ্ছা বিক্রি শুরু হলে হাজারের উপর আয় হবে। এছাড়া দিন দিন এই আয় আরো বাড়বে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এক সময় প্রতিদিন নিজের ব্যয় হত কমপক্ষে প্রায় হাজার টাকার মত। সেই ব্যয় এখন আর হয়না। ফলে তিনি ওই পাখির খামারকে আরো বড় করার স্বপ্ন দেখছেন। আমার খামার দেখে এলাকায় কিছু বন্ধু খামার করতে এগিয়ে আসছেন আমি তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
এলাকার কয়েক জন যুবকের সাথে আলাপকালে জানান, রওশন আহমদ একজন মেধাবী যুবক সে পরিশ্রম করতে পারে। ওই যুবক সাবলম্বী হতে তেমন সময় লাগবেনা। সে অল্প সময়ে কোয়েল পাখির খামার করে আয়ের পথ বের করেছে। তারা বলেন, আমরা কয়েকজন তার পরামর্শ নিয়ে কোয়েল পাখির খামার করতে পরিকল্পনা করছি।
বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম বলেন, রওশন আহমদ নিয়মিতবাবে খামার দেখাশুনো করছেন। পাশাপাশি তিনি আয় করতে পারছেন। তার খামার দেখে অনেক যুবক উদ্বদ্ধু হচ্ছে। তিনি বলেন, ওই যুবককে তিনি কোয়েল পাখির খামার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রওশনের মতো আরো যুবকেরা কোয়েল পাখির খামারে এগিয়ে আসলে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।